‘তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে হবে’

‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি একটি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত পদ্ধতি। এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখার জন্য আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধি করা জরুরি। আর এই তামাক কর এমনভাবে বৃদ্ধি করা উচিত যাতে তামাক গ্রহণকারী ব্যবহার কমিয়ে নিরুৎসাহিত হন ’- জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিমতই ব্যক্ত করেন সংসদ সদস্য ও বিশ্লেষকরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, বিশেষ অতিথি ছিলেন এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি। 

আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. অরূপরতন চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লিড পলিসি অ্যাডভাইজার, সিটিএফকে-বাংলাদেশ, আবদুস সালাম মিয়া, গ্র্যান্টস ম্যানেজার, সিটিএফকে-বাংলাদেশ এবং এস এম রাশেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) প্রমুখ। 

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনির সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো, শরিফুল ইসলাম।

এস এম রাশেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) বলেন, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ পেতে হলে কর ব্যবস্থা ও এনবিআরকে ঢেলে সাজাতে হবে।

আবদুস সালাম মিয়া, গ্র্যান্টস ম্যানেজার, সিটিএফকে-বাংলাদেশ বলেন, কার্যকরভাবে করারোপের অভাবে বাংলাদেশে তামাকদ্রব্য অত্যন্ত সস্তা এবং সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে। এজন্য তামাকদ্রব্যে কর বৃদ্ধি করতে হবে।

অধ্যাপক ডা. অরূপরতন চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মানস বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতো তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে তামাক কর বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লিড পলিসি অ্যাডভাইজার, সিটিএফকে-বাংলাদেশ বলেন, সংবাদ সম্মেলনে যে প্রস্তাবনাটি করা হয়েছে সেটি যদি সরকার গ্রহণ করে তবে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমবে ও নতুন ব্যবহারকারীরা নিরুৎসাহিত হবে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, বর্তমান তামাক কর কাঠামো অত্যন্ত জটিল যা তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণের পথে একটি বড় বাধা। আর এজন্য এই কর কাঠামোকে সহজ করতে হবে। এটা করে যথাযথ পদ্ধতিতে তামাক-কর বৃদ্ধি করলে তামাকের ব্যবহার কমাতে তা কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি এমপি বলেন, অন্যান্য করের সাথে তামাক করের পার্থক্য রয়েছে। আর এটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বুঝতে হবে। কারণ তামাকের কারণে যে পরিমাণ কর আহরণ হয়, জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এর বহুগুণ।

অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এমপি বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য তামাক খুবই ক্ষতিকর একটি দ্রব্য। এর আর্থিক ক্ষতির কম নয়। ফলে তামাক ব্যবহার কমানোর জন্য সকল ক্ষেত্রেই উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষত ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য তামাক কর বৃদ্ধি করাটাও খুবই জরুরি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //