ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায়ে দীর্ঘ যানজট

ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হয়েছে আজ থেকে। এতে ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজা এলাকায় ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী যানবাহনগুলোর চার কিলোমিটারে বেশি ও ভাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলোর এক কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে এ টোল আদায় শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত সরেজমিনে বগাইল টোল প্লাজা এলাকায় দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজার ১০টি টোল বুথের মধ্যে চারটি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। বাকি ছয়টি অকার্যকর অবস্থা রয়েছে। সেখান দিয়ে যানবাহনগুলো যেতে পারছে না। এই চারটি টোল প্লাজার দুটি থেকে ঢাকাগামী যানবাহন থেকে এবং বাকি দুটি থেকে ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী যানবাহনগুলো থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী ৫৫ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ের নাম দেওয়া হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার এই মহাসড়ক ব্যবহার করলে একটি বড় বাসকে দিতে হবে ২০০ টাকা, মিনিবাস ১১০ টাকা, মাইক্রোবাস ৯০ টাকা, প্রাইভেট কার ৫৫ টাকা, মোটরবাইক ১০ টাকা।

এছাড়া ট্রাকের ক্ষেত্রে ট্রেইলর ট্রাকের (সবচেয়ে বড় ট্রাক) টোল ধরা হয়েছে ৬৭৫ টাকা, ভারী ট্রাকের ক্ষেত্রে ৪৪০ টাকা এবং মাঝারি আকারের ট্রাকের ক্ষেত্রে ২২০ টাকা দিতে হবে।

ঢাকার উত্তরা থেকে মাদারীপুরগামী ব্যক্তিগত গাড়ির চালক মো. নূর আলম (৫১) বলেন, উত্তরা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গার বগাইল পর্যন্ত মাত্র এক ঘণ্টায় এসেছি। এখানে এসেই বসে আছি এক ঘণ্টার ওপরে। সেতু চালু হওয়ার পর ভাবলাম দ্রুত বাড়িতে যাব। সেই যানজট আর পিছু ছাড়ল না।

তিনি আরো বলেন, গাড়ির চাপ তো থাকবেই। টোল আদায়ের গতি আরো বেশি থাকলে আমরা দ্রুত পার হতে পারতাম।

ঢাকার বাড্ডা থেকে বরিশালগামী পণ্যবাহী বড় ট্রাকের চালক মো. নুরুজ্জামান মিয়া বলেন, ১০টা টোল বুথের মাত্র চারটা চালু হয়েছে। বাকি ছয়টা বুথ বন্ধ। এ জন্য টোল আদায়ে জ্যাম লেগে গেছে। এই জ্যাম আস্তে আস্তে বাড়বে ছাড়া কমবে না। কারণ যতই বেলা বাড়ছে, ততই গাড়ির চাপ বাড়ছে।

ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ফরিদপুরগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ১০৫ মিনিটে সায়েদাবাদ থেকে এই বগাইল টোল প্লাজায় এসেছি। এখানে এসে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে লাইনে আছি। এখনো সামনে দুই-তিন শত যানবাহনের সাড়ি। পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ের টোল একসাথে নিলে আমাদের এই ভোগান্তি পোহাতে হতো না।

টোল প্লাজার ডেপুটি ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, এখানে ১০টি বুথের মধ্যে চারটি সচল রয়েছে। এ ছাড়া শুক্রবার হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেশি থাকায় আমাদের অল্পসংখ্যক টোল আদায় বুথ দিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত বাকি ছয়টি চালু করার। ওইগুলো চালু করা সম্ভব হলে এই যানজট কমে যাবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //