শেষ দিনে জমজমাট কোরবানির হাট

রাত পোহালেই পবিত্র কোরবানির ঈদ। শেষ সময়ে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট। দরকষাকষিতে ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। মাঝারি ও ছোট গরুর পর্যাপ্ত ক্রেতা থাকলেও বিপাকে পড়েছে বড় গরু নিয়ে আসা বেপারিরা। 

গতকাল শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গাবতলী, বছিলা, তেজগাঁও, ধোলাইখাল, রহমতগঞ্জ ও আমুলিয়াসহ বেশ কয়েকটি পশুর হাটে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের তুলনায় ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছে, সবাই দাম শুনছে। ক্রেতার তুলনায় বিক্রি কম। তবে আজ শনিবার (৯ জুলাই) বিকেলে ও সন্ধ্যার পর ভালো বিক্রি হবে। 

সাভার থেকে মহিষ নিয়ে গাবতলী হাটে এসেছেন মো. জসিম শিকদার। তিনি বলেন, এবার তুলনামূলকভাবে বিক্রি কম। দুই দিন আগে তিনটি মহিষ নিয়ে এসেছি। এর মধ্যে একটি বিক্রি করলেও দুইটি এখনও থেকে গেছে। তবে আজ রাতের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে। সন্ধ্যার পর কাস্টমারের চাপ বেশি থাকবে।

দামের বিষয়ে তিনি বলেন, দাম ভালোই আছে। ক্রেতা ও বিক্রেতা কেউ ঠকবে না। কারণ হাটে এখনও পর্যাপ্ত পশু আছে।

এই হাটে এবার উট বা বিদেশি কোনো পশু ওঠেনি। হাতে গোনা কয়েকটি দুম্বা দেখা গেছে। ক্রেতা না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছে ছাগল বিক্রেতারা। তবে শেষ পর্যন্ত এই হতাশা থাকবে না বলেও আশা করছেন তারা। 

খিলগাঁওয়ের তাসিফ এগ্রো থেকে দুম্বা নিয়ে এসেছেন মো. আলামিন। তিনি বলেন, গতকাল দুটি দুম্বা নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত বিক্রি করতে পারিনি। বড়টির দাম সাড়ে তিন লাখ, ছোটটি আড়াই লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বড়টির দাম দুই লাখ বিশ হাজার উঠেছে আর একটু উঠলেই ছেড়ে দেব। এটাতে তিন মণ মাংস হবে। তাছাড়া রাজধানীর আফতাব নগর পশুর হাটেও দুম্বা পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল দুম্বা আসার পর থেকেই মানুষ দেখার জন্য ভিড় করছে।

তবে বড় গরু নিয়ে বিপাকে খামারিরা। খরায় ভুগছেন বড় গরুর খামারিরা। তিন দিন আগে ‘রাজ’কে (গরুর নাম) নিয়ে মেহেরপুর থেকে এসেছেন আসমা আক্তার। ১৫ লাখ টাকা দাম চাইলেও এখনও কেউ দাম বলেনি। শেষ পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন কি না এ নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। কুষ্টিয়ার ‘রাজা বাবু’র ১২ লাখ টাকা দাম চাইলেও বিক্রি হয়েছে মাত্র পাঁচ লাখ টাকায়। যদিও দুই দিন আগে সাত লাখ টাকা দাম উঠেছিল কিন্তু আরও ভালো দামের আশায় তখন বিক্রি করেননি। শেষ পর্যন্ত কেঁদে ফিরেছেন খামারি। 

গাবতলী হাটের ম্যানেজার আবুল হাসেম বলেন, হাটে পর্যাপ্ত পশু আছে। দামও তুলনামূলকভাবে কম আছে। একটু আগে হাট ইজারাদারের জন্য ছয়টি গরু কিনেছি। তাতে দেখা গেছে, ২৭ হাজার টাকা মণ পড়েছে। তাই গরুর দাম কমই আছে বলে মনে হচ্ছে।

এবার রাজধানীতে দুটি স্থায়ীসহ মোট ২১টি হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা চলছে। তাছাড়া নগরীর অলিগলি ও সড়কেও বসেছে ছোট ছোট পশুর হাট।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //