দীর্ঘদিন পর লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে সারা দেশ। চাহিদামাফিক বিদ্যুতের অভাবে ঢাকাসহ অন্য বড় শহরে গড়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা এবং অন্য এলাকায় গড়ে সাত থেকে আট ঘণ্টা ‘ফোর্স লোডশেডিং’ করা হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে কলকারখানা, অফিস- আদালত বন্ধ থাকলেও লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি থেকে রেহাই মেলার সম্ভাবনা কম।
আর গ্রামাঞ্চলের লোডশেডিং পরিস্থিতি অসহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, তার ওপর ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছেন প্রায় এক কোটি মানুষ। এ অতিরিক্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হবে সংশ্লিষ্টদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারা দেশে যখন কোনো লোডশেডিং থাকে না, তখনও পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হয়। এখন সঙ্কটের কারণে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে অনেকে গ্রামে যাওয়ায় চাহিদা বাড়বে, তাই লোডশেডিংও থাকবে।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, বর্তমানে সারা দেশে দুই হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়ে সারা দেশে চাহিদা ধরা হয়েছে সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে চাহিদা দুই হাজার মেগাওয়াট কমানো গেলে লোডশেডিং করা লাগবে না। ইতোমধ্যে সারা দেশে লোডশেডিংয়ের রুটিন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে কলকারখানা, গার্মেন্টস ও অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা কমবে। তাই লোডশেডিং হওয়ার আশঙ্কা কম।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (বিতরণ ও পরিচালন) দেবাশীষ চক্রবর্তী জানান, তাদের গড়ে প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ রিজিয়ন ও রংপুর অঞ্চলে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। এতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা, কোথাও কোথাও এর থেকে বেশি লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh