বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় সচেতন: প্রতিমন্ত্রী

বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় সচেতন বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বক্তব্যে নদী রক্ষার কথা বলেন। এতে বুঝতে হবে বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় কতটা সচেতন। কেননা শরীরে রক্ত চলাচলে যেমন শিরা উপশিরা প্রয়োজন তেমনি নদী দেশের সকল ধরণের প্রবাহ রাখতে সহযোগিতা করে।’

আজ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত ‘রাইটস অব রিভার্স’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নদী রক্ষায় বিভিন্ন চ‍্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ বলেন, নদীকে দখলমুক্ত করার জন্য আমরা যথাযথ চেষ্টা করছি। তবে নদী রক্ষা ও উদ্ধার কার্যক্রমে বেশ কিছু বাধা পেয়েছি। নদীর তীরে নদীর জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরের মত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠা  স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সাথে কথা বলেছি। তারা এ বিষয়ে আমাদের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণকে নদীমুখী করতে পারছি-এটা আমাদের সফলতা। সরকার গঠনের পর বলেছি নদীকে আলোচনায় আনতে হবে, নদী নিয়ে জনগণকে ভাবতে হবে জনগণ এখন নদী নিয়ে ভাবছে, নদীর সাথে চলে এসেছে, এটা আমাদের সফলতা। বঙ্গবন্ধু জলাভূমি ও নদী নিয়ে কথা বলেছেন।

নদী ও জলাভূমি রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নদীর নাব‍্যতা রক্ষায় বঙ্গবন্ধু বিআইডব্লিউটিএ’র জন‍্য অনেকগুলো ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন, সেগুলো এখনও সচল আছে এবং নাব‍্যতা রক্ষায় কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘষিয়াখালী চ‍্যা এবং  নেনরাজবাড়ীর পাংশায় নদী খনন কাজে অংশ নিয়েছিলেন। নদী রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ করতে পারলে-আজকে নদীর নাব‍্য তা ও দূষণ নিয়ে কথা বলতে হতো না। এখন বাস্তবতা হলো-নদীর প্রবাহ ও নাব‍্যতা কমে গেছে দূষণে ব‍্যবহার অনুপযোগী হয়েছে।

খালিম মাহমুদ বলেন, নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছেন, ঢাকার চারপাশে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি গড়ে তোলা এবং ১৯৯৯ সালে দূষণরোধে প্রকল্প নেয়ার কথা বলেছিলেন, কিন্তু সেগুলো হয়নি, আরো বেশি দূষণ হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় নদী তীর দখলমুক্ত করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস নিয়ে কাজ করছি, তিনি আমাদের উৎসাহিত করছেন এবং সাহস যুগিয়েছেন। বিআইডব্লিউটিএ’র মাধ‍্যমে ৯০ ভাগ নদীর জায়গা দখলমুক্তের কাজ হয়েছে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিজ গোয়েন লুইস। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ড. আইনুন নিশাত। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান ও সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //