‘বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরো মিতব্যয়ী হতে হবে’

চলমান কোভিড-১৯ মহামারি থেকে উদ্ভূত বৈশ্বিক সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেনকে যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্দা ও বিশ্বে খাদ্য সংকট সৃষ্টির যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা থেকে পরিত্রাণ পেতে সবাইকে সাশ্রয়ী এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি সার্বিক উৎপাদন বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) গণভবনে ১০০ সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, আপনাদের প্রত্যেকটা এলাকায় আপনারা যত পারবেন খাদ্য উৎপাদন করবেন। তরি-তরকারি যেটা পারেন উৎপাদন করবেন, হাঁস-মুরগি-ছাগল-ভেড়া, যেটা পারেন সেটা পালন করতে হবে। অর্থাৎ নিজেদের খাদ্য সংস্থান নিজেদের করার চেষ্টা করতে হবে। কেননা, বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে, এর ধাক্কা যেন বাংলাদেশকে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে।

তিনি আরো বলেন, এই আঘাতটা আসবেই। কারণ, বিশ্ব এখন একটি গ্লোবাল ভিলেজ। কাজেই, কোনো জায়গায় একটা সমস্যা দেখা দিলে এর অভিঘাতটা বাংলাদেশেও এসে পড়ে। পাশাপাশি, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে খুবই সাশ্রয়ী হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের যে ধারাটা আমরা সৃষ্টি করেছি, সেটা ধরে রাখতে উৎপাদন বাড়ান। আর যেসব জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গেছে, সেসব এলাকায় ঘর-বাড়ি ও চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন এবং মশারি টানিয়ে ঘুমাতে যান।

তিনি বলেন, সরকার দেশের যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি তৃণমূলের মানুষের জন্য দেশের যে উন্নয়ন করা হয়েছে, তার সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ এবং সরকার কাজ করছে বলেই মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে আর কোনো অভাব হয়নি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ফলে পার্বত্য অঞ্চলেও উন্নয়ন হচ্ছে। সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নয়ন হচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি।

তিনি বলেন, সরকার এমনভাবে সেতু, সড়ক ও মহাসড়কগুলো নির্মাণ করছে, যেন, শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, আমরা এশিয়ান হাইওয়ে ও এশিয়ান রেলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি। কারণ, ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমাদের যোগাযোগ যাতে আরও এগিয়ে যেতে পারে, সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি।

আমরা বাংলাদেশটাকে উন্নয়নের জন্য রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেভাবেই কাজ করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, সেখানে সেটা করেছি। কেননা, দুর্গম এলাকাতে পর্যন্ত আমরা ব্রডব্যান্ড এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। এ কারণেই আজ বিভিন্ন জেলা যুক্ত করে একযোগে ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করতে পারছি।’

সারাদেশে কানেকটিভি বাড়াতে তার সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে, সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগের বাড়াতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //