নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৫৯ পিএম
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:৩০ পিএম
চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আবারো করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এবার ছড়াচ্ছে ওমিক্রনের নতুন ধরন ‘বিএফ.৭’, যা অতি সংক্রামক ও শনাক্ত করা কঠিন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ ধরন প্রতিরোধে দেশের সব বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্বে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের করণীয় শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহেমদুল কবীর।
তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সব বন্দরে স্ক্রিনিংয়ে জোর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব দেশে করোনা সংক্রমণ বেশি সেসব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের সন্দেহ হলে করোনা টেস্ট করানো হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা এখনও সাত থেকে আট জনের মধ্যে থাকলেও ইতোমধ্যে আইইডিসিআরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জিমোন সিকুয়েন্স চলমান রাখতে। কেননা করোনার নতুন ধরনটি দেশে আসলে দ্রুত শনাক্ত সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ অতিরিক্ত মহাপরিচালক সকলকে মাস্ক পরাসহ প্রাপ্তবয়স্কদের দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, ডিএনসিসি হাসপাতালকে আরো বেশি সুসজ্জিত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে বেশি রোগী সেখানে ভর্তি ও সেবা নিশ্চিত করা যায়। করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে গেলেও যাতে চিকিৎসা সংকট না দেখা দেয় সে কারণে দেশের সবগুলো হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নতুন এ উপধরনের উপসর্গ এবং এর চিকিৎসায় করণীয় নির্ধারণের জন্য দু-একদিনের মধ্যে কারিগরি কমিটির মিটিং হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh