মার্চ থেকে সরকারি হাসপাতালে ‘প্রাইভেট চেম্বার’

১ মার্চ থেকে সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ অফিস সময়ের বাইরে সরকারি হাসপাতালে চেম্বারে রোগী দেখবেন। চিকিৎসক প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে সর্বোচ্চ ফি ৩০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা নিবেন। দেশের ৮৩টি সরকারি হাসপাতালে এই ‘প্রাইভেট চেম্বার’ কার্যক্রম শুরু হবে ১ মার্চ এবং আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে এ কার্যক্রম চালু হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত এ সংক্রান্ত কমিটির নীতিমালায় এসব প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটির প্রধান সাইদুর রহমান বলেন, রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আগামী মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হবে এই কার্যক্রম। এ ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস। এর ফলে চিকিৎসক তার অফিস সময়ের পর নিজ কর্মস্থলে বসে রোগী দেখবেন। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে বলে মনে করেন চিকিৎসক এবং রোগীরা।

সরকারি হাসপাতালে সকাল ৮ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রোগী দেখেন চিকিৎসকরা। এ সময়টাতে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে রোগীদের দীর্ঘ লাইন থাকে। এরপরও অনেকে চিকিৎসকের দেখা পান না। এসব ঝামেলার কারণে বিত্তবানরা বেসরকারি হাসপাতালকে বেছে নেন। সমস্যা হয় সাধারণ মানুষের। তাই সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবায় কিছুটা স্বস্তি দিতে সরকারি হাসপাতালেই এবার চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা করছে সরকার।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, চেম্বারের সময় বেলা ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের ফি ৩০০ টাকা। কনিষ্ঠ চিকিৎসকের ফি ১৫০ টাকা। এ ৩০০ টাকা ফি থেকে জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক পাবেন ২০০ টাকা। তার সহায়তাকারি পাবে ৫০ টাকা এবং বাকি ৫০ টাকা সরকারি তহবিলে জমা হবে। ১৫০ টাকা ফি থেকে কনিষ্ঠ চিকিৎসক পাবেন ১০০ টাকা, চিকিৎসকের সহায়তাকারী পাবেন ২৫ টাকা। বাকি ২৫ টাকা জমা হবে সরকারি তহবিলে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র আরো জানায়, ১ মার্চ উপজেলা পর্যায়ে ৫০টি, জেলা পর্যায়ে ২০টি, বিভাগীয় পর্যায়ে ৮টি ও বিশেষায়িত ৫টি সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট চেম্বার চালু হবে। উপজেলা ও জেলাপর্যায়ের হাসপাতাল ঠিক করা হয়েছে রোগীর উপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে। যেসব হাসপাতালে রোগী বেশি আসে, সেখানে এ সেবা চালু করা হবে। আগামী আগস্টের মধ্যে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট চেম্বার চালুর পরিকল্পনা করছে মন্ত্রণালয়।

প্রাইভেট চেম্বারে কনসালটেশন, ডায়াগনস্টিক, ল্যাবরেটরি, রেডিওলজি, ইমেজিং ও সার্জিক্যাল সেবা দেওয়া হবে। চিকিৎসকেরা পালা করে রোগী দেখবেন। একজন অধ্যাপক সপ্তাহে দুই দিন, সহযোগী অধ্যাপক দুই দিন, সহকারী অধ্যাপক দুই দিন রোগী দেখবেন। চিকিৎসক যদি রোগীকে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেন, রোগী চাইলে তা সরকারি হাসপাতালে করতে পারবেন। আবার বেসরকারি হাসপাতালেও করতে পারবেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //