আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপিসহ বিভিন্ন ধরনের সারের দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। সারের দাম বাড়ায় দেশের কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সারের দাম বাড়ার বিষয়টি গতকাল সোমবার (১০ এপ্রিল) কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসেন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বাড়ার কারণে আমদানি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারের মূল্য পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আদেশ জারির তারিখ থেকে সারের মূল্য বৃদ্ধি কার্যকর হবে বলে জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বসবাসকারী এক কৃষক বলেন, সারের দাম এমনিতে বেশি। তার ওপর দাম আরও ৫টাক বাড়ল কেজিপ্রতি। কৃষকদের আর কোথা যাওয়ার জায়গা রইল না।
যদিও গত ৩ এপ্রিল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা’ শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছিলেন, অতীতের মতো আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না।
চলতি বছর সারের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, সারের দাম বাড়বে না। কৃষক যাতে পর্যাপ্ত সার পায়, সে লক্ষ্যেই আমরা চাহিদা নির্ধারণ করেছি। মার্চে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি ছিল, তবুও আমরা একটু কমিয়ে চাহিদা নির্ধারণ করেছি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৭ লাখ টন, টিএসপি সার সাড়ে ৭ লাখ টন ও এমওপি সারের চাহিদা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন। এ ছাড়া আমাদের ডিএপি সার প্রয়োজন হয় ৫ থেকে ৬ লাখ টন। কিন্তু এ সারের দাম কমানোর জন্য ১৬ লাখ টন চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সারের মজুতের পরিমাণের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪ লাখ টন ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে। এছাড়া টিএসপি সার রয়েছে দুই লাখ টন, ডিএপি সার আড়াই লাখ টন এবং এমওপি সার সোয়া দুই লাখ টন। গত বছরের তুলনায় সব সারের পরিমাণই কিছুটা কম রয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : বাংলাদেশ সার ড. আব্দুর রাজ্জাক কৃষি মন্ত্রণালয়
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh