বিশ্বের দুর্দশাগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১১৫তম

বিশ্বের দুর্দশাগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। আর এ তালিকায় ভারত-পাকিস্তানের তুলনায় বেশ ভালো অবস্থায় আছে বাংলাদেশ। গত ১৮ মে বিশ্বের বার্ষিক দুর্দশা সূচক (এইচএএমআই) প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনীতিবিদ স্টিভ হ্যাংকি। সেখানেই এমন চিত্র দেখা গেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ সূচক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত ১৫টি দেশের তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো— জিম্বাবুয়ে, ভেনেজুয়েলা, সিরিয়া, লেবানন, সুদান, আর্জেন্টিনা, ইয়েমেন, ইউক্রেন, কিউবা, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, হাইতি, অ্যাঙ্গোলা, টোঙ্গা এবং ঘানা।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ১৫৭টি দেশের মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, ব্যাংকের সুদহারসহ অন্যান্য বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করে এ সূচকটি তৈরি করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫। বাংলাদেশের দুর্দশার প্রধান কারণ— বেকারত্ব। এ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২০ দশমিক ১০৭।

এদিকে এ সূচকে ভারতের অবস্থান ১০৩। বাংলাদেশের মতো ভারতেরও দুর্দশার প্রধান কারণ বেকারত্ব। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তানের অবস্থান ৩৫। দেশটির দুর্দশার প্রধান কারণ মুদ্রাস্ফীতি। সে হিসেবে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে কম দুর্দশাগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ।

অপরদিকে বিশ্বের সবচেয়ে কম দুর্দশাগ্রস্ত দেশ সুইজারল্যান্ড। এ দেশটির ঋণ জিডিপির তুলনায় কম। সুইজারল্যান্ডের পর এ তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে কুয়েত, আয়ারল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, নাইজার, থাইল্যান্ড, টোগো এবং মাল্টা।

সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৩৪। এ দেশটিরও প্রধান সমস্যা বেকারত্ব। এছাড়া ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী টানা ছয়বারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে নির্বাচিত হওয়া ফিনল্যান্ড এই সূচকে ১০৯তম অবস্থানে রয়েছে।

বিশ্বের দুর্দশাগ্রস্ত দেশের তালিকা তৈরির ধারণাটি ছিল মার্কিন অর্থনীতিবিদ আর্থার ওকুনের। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রথম এই সূচকটি তৈরি করেছিলেন। পরে এর সংশোধন আনেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রবার্ট ব্যারো। পরে এতে আরও সংশোধন আনেন স্টিভ হ্যাংকি।

বার্ষিক দুর্দশার সূচকটি তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের বেকারত্বের অবস্থা, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ঋণের হার ও বার্ষিক জিডিপি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সূচকটি তৈরিতে ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক, ইকোনমিক আউটলুক এবং বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পরিসংখান ব্যুরোর দেওয়া তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //