তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে: পাউবো

আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে সাময়িকভাবে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।

আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বাপাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গঙ্গা-পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমানতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া উজানে ভারি বৃষ্টির প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টা উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।

পার্থ প্রতীম বড়ুয়া আরও বলেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জ জেলার সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ, ছাতক ও দিরাইসহ তিন উপজেলায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ স্টেশনে ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি কম হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকলে পানি দ্রুতই নেমে যাবে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময়ে সুনামগঞ্জে ৫০, দিরাই ১৪ ও ছাতকে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পাউবো সুনামগঞ্জের দেওয়া তথ্যমতে, সোমবার থেকে সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পানি কিছুটা কমেছে। কিন্তু এখনও ছাতক, সুনামগঞ্জ ও দিরাই তিন উপজেলায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখনও ছাতকে পানি তিন সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর এবং দিরাইয়ে এক সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //