নিবন্ধন পেলো নতুন ৩ প্রজাতির বাঁশ

নতুন ৩ প্রজাতির বাঁশের নিবন্ধন পেয়েছে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)। ইনব্রিড ধরনের জাত হিসেবে সারা দেশে চাষের জন্য এগুলো সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ৭ আগস্ট কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড বাঁশের নতুন জাত বিএফআরআই ব্যাম্বু বিবি১, বিএফআরআই ব্যাম্বু বিএন১ ও বিএফআরআই ব্যাম্বু বিএস১-কে নিবন্ধন প্রদান করে। গবেষণা সংস্থাটির ইতিহাসে এটিই প্রথম উদ্ভাবনের ঘটনা। ফলে বর্তমানে দেশীয় বাঁশের প্রজাতির সংখ্যা দাঁড়াল ৪০টিতে।

জাতীয় বীজ বোর্ডের সচিব ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. আবু জবাইর হোসেন বাবলু এবং প্রধান বীজতত্ত্ববিদ ড. মো আকতার হোসেন খান স্বাক্ষরিত নিবন্ধনের প্রত্যয়নপত্রে নতুন প্রজাতির শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, বাঁশের চারা তৈরি বা চাষ অনেক দীর্ঘ প্রক্রিয়া। কোনো কোনো প্রজাতির বাঁশের ফুল আসতে ২০ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। এজন্য বর্তমানে কঞ্চি কলম পদ্ধতিতে চারা তৈরি করা হয়।

বৃহৎ পরিসরে আধুনিক পদ্ধতিতে চারা তৈরির জন্য বিএফআরআই ১৯৯১ সাল থেকে টিস্যু কালচার ল্যাব চালু করে। আর এ আধুনিক পদ্ধতিতে বরাক, মাকলা ও করজবা বাঁশের চারা তৈরি করতে গিয়ে নতুন ৩ প্রজাতির উদ্ভাবন করেন গবেষকরা।

বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিলভিকালচার-জেনেটিক্স বিভাগের ল্যাবের গবেষকরা ২০০২ সালে বরাক বাঁশের টিস্যু কালচার প্রটোকল সম্পন্ন করেন। পরে তারা ২০০৪ সালে মাকলা বাঁশ এবং ২০০৫ সালে করজবা বাঁশের টিস্যু কালচার প্রটোকল সম্পন্ন করেন।

গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, নতুন জাতের এই বাঁশের চারাগুলোর রূপগত (মরফোলজিক্যাল) বৈশিষ্ট্য মূল প্রজাতির থেকে আলাদা।

২০০৫ সালে গবেষকরা পাবনা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অভ ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস এবং বান্দরবানে মাঠ পর্যায়ে নতুন এই জাতগুলোর পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করেন।

বাঁশের জাতগুলো সফলভাবে বেড়ে ওঠার পর নতুন প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জাতগুলোর নাম দেওয়া হয়- বিবি১ (বরাক বাঁশ থেকে), বিএন১ (মাকলা বাঁশ থেকে) এবং বিএস১ (করজবা বাঁশ থেকে)।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //