বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে অগ্রগতি দেখা গেছে: মিরা রেসনিক

মিরা রেসনিক যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি। অতি সম্প্রতি নিরাপত্তা সংলাপ উপলক্ষে ঢাকা সফর করে গেছেন তিনি। সে সময় এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। বলেছেন এ সংক্রান্ত চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথা।

মিরা জানান, আগামী বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে উচ্চ সক্ষমতার ব্ল্যাকজ্যাক ইউএএস, ৩৫ ফুট সেফ পেট্রোল বোট এবং অতিরিক্ত জোডিয়াক রিজিড হাল বোট সরবরাহ করবে বলে আশা করছে। এসব ব্যবস্থা বাংলাদেশকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সহায়তা করবে।

ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বলেন, এই বিশেষ সরঞ্জামগুলোর জন্য জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্টের (জিএসওএমআইএ) প্রয়োজন হয় না। তবে এর জন্য প্রযুক্তি সুরক্ষা ও বিদেশি উন্মোচন পর্যালোচনা প্রয়োজন হবে, যা ওয়াশিংটন করে থাকে।

তিনি বলেন, আরও উন্নত সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য জিএসওএমআইএ প্রয়োজন। যখন বাংলাদেশ সরকার এর জন্য প্রস্তুত হবে তখন আমরা তাদের সঙ্গে একটি জিএসওএমআইএ সইয়ের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।

মিরা রেসনিক জানান, জিএসওএমআইএ ও অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিসিং এগ্রিমেন্ট (এসিএসএ) দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা বাণিজ্যের সুযোগ সম্প্রসারণ, তথ্য আদান-প্রদান এবং সামরিক সহযোগিতার জন্য অপরিহার্য। উল্লেখ্য, অনেক মিত্র দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই চুক্তি রয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানও এই চুক্তিতে সই করতে সম্মত হয়েছে। 

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশ সরকারের ওপর নির্ভর করবে যে তারা কোন পর্যায়ে কোন চুক্তি অনুসরণ করবে, যা বাংলাদেশের জন্য অর্থবহ হবে।

ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বলেন, আমরা এমন উপায় খুঁজছি যাতে বাংলাদেশকে তার সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণে সহায়তা করতে পারি। আপনাদের উপকূলীয় সীমান্তে কী রয়েছে; আকাশ, স্থল, সমুদ্র ও সাইবারস্পেসে কী ঘটছে তা বোঝার জন্য আমরা সামুদ্রিক ডোমেইন সচেতনতায় বিনিয়োগ করতে পারি।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে মিরা রেসনিক বলেন, এই অঞ্চলটি উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক ও সুরক্ষিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপত্তা সংলাপের সময় সবচেয়ে ভালো যে উদাহরণ উঠে এসেছে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডকে যে ধরনের সফটওয়্যার সরবরাহ করে, সেই ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড আপনাদের জলসীমায় বাংলাদেশি জেলেদের রক্ষায় সক্ষম। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল সম্পর্কে এটাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি।

মিরা রেসনিক বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বহুমুখী ও বিস্তৃত। এই সম্পর্কে যে অগ্রগতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে- এমন কোনো পরিস্থিতি আমরা দেখতে চাই না।-ইউএনবি 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //