পুলিশের ওপর হামলার ফুটেজ পাঠানো হচ্ছে দূতাবাসে

বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার সবগুলো ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া পুলিশের নিজস্ব ক্যামেরায় তোলা ভিডিও একত্রিত করে তা বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। 

আজ রবিবার (২৯ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট এক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা করা হয়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে বেধড়ক ও নির্দয়ভাবে পিটিয়ে আহত করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এতে আমিরুল ইসলাম পারভেজ নামে এক পুলিশ কনস্টেবল মারা যান। এছাড়া রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের সামনে আরেক পুলিশ সদস্যকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে ও মাথার হেলমেট খুলে ইট দিয়ে মুখমণ্ডল থেতলিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি একটি লাঠির মাথায় আগুন জ্বালিয়ে ফুটপাতে পড়ে থাকা ওই পুলিশ সদস্যের গায়ে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পাশের একটি ভবন থেকে এই দৃশ্য ধারণ করেন এক ব্যক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিও সংগ্রহ করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের নৃশংসতা বিদেশি দূতাবাসগুলোর কাছে তুলে ধরা হবে।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশের কাছে এসব ভিডিও এবং ছবি ও এর বর্ণনা ডকুমেন্টারি আকারে তৈরি করে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি ইউনিট ডকুমেন্টারিগুলো বানানো শুরু করেছে।

পুলিশ সূত্র আরও জানায়, বিদেশি দূতাবাসগুলো থেকে সবসময় পুলিশের মারমুখী আচরণের সমালোচনা করা হয়। কিন্তু পুলিশ তড়িৎ ব্যবস্থা না নিলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি কেমন হয় এবং পুলিশ সদস্যরা যে মারধরের শিকার হন তা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দেখানো হবে। একইসঙ্গে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহযোগীরা যে ২০১৩-১৪ সালের মতো আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে তাও তাদের সামনে তুলে ধরা হবে। এজন্য গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাগুলোর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সংগৃহীত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মালিবাগ ফ্লাইওভারের ওপর বলাকা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিচ্ছেন যুবদল দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন ও তার সহযোগীরা। রবিউলকে ধরতে এরই মধ্যে অভিযান শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল।

পুলিশ জানায়, সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা এত সহিংসতা করতে পারে এটা তারা কল্পনাও করতে পারেননি। যদিও সংঘর্ষ বা সহিংসতার শঙ্কা বিবেচনা করেই পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিলো। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের আগ বাড়িয়ে কোনও সংঘর্ষে লিপ্ত না হওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশনাও ছিলো। এ কারণে কাকরাইলের প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ মুহুর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার কারণে পুলিশ সদস্যরা কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়ে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //