নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪২ এএম
আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫২ পিএম
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে, মানবাধিকার ও শ্রম ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। ওয়েবিনারে এমন শঙ্কা জানিয়েছেন, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, দুর্ভিক্ষ হলে দায় দুর্বল অর্থনৈতিক কাঠামোর। এজন্য মার্কিনিদের দোষ দিয়ে লাভ হবে না। সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেনের মতে, বিরোধী দল খুঁজতে এই নির্বাচন।
ডোনাল্ড লু থেকে আজরা জেয়া, বছরজুড়েই ঢাকার কূটনীতি ব্যস্ত ছিল মার্কিন অতিথিদের নিয়ে। অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের তাগিদ দেন তারা। সহিংসতা ও নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়া হয়। বছর শেষে সংলাপের চিঠিও দেয় দেশটি।
কিন্তু সংলাপ ইস্যুতে মার্কিনিদের অনুরোধ আমলে না নিয়ে, বিএনপিসহ বেশকিছু দল ছাড়াই নির্বাচনের পথে হাঁটে সরকার। এর পরিণতি নিয়ে ওয়েবিনারের আয়োজন করে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ। যার শিরোনাম আরেকটি সাজানো নির্বাচন, কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক ঝুঁকি।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, নির্বাচনের পর শ্রম ইস্যুতে আসতে পারে আংশিক নিষেধাজ্ঞা। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনের পর দুর্ভিক্ষের জন্যে মার্কিনিদের আগাম দায়ী কোরে, ধাপ্পা বাজি করে টেকা যাবে না।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব আরো বলেন, আমাদের গ্রামীণ শিল্পের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞাও যদি আসে তাহলে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ নারী কাজ করে, তাদের একটা বড়সড় অংশ চাকরিচ্যুত হবে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মার্কিনিরা বিমান আর ড্রোন বিক্রি করে সরকারের কাছে আসতে চায়, এমন বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া, নির্বাচনে ভোটদানের হার নিয়েও সংশয় রয়েছে।
সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, আমার মতে এই নির্বাচন নিয়ে ৬০ শতাংশ মানুষ আগ্রহী নন। আর ৪০ শতাংশের মধ্যেও তারা বিভক্ত।
সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যের জের ধরে সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিএনপি যে নির্বাচনে আসুক; সেটা সরকার চেয়েছিল কিন্তু বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh