মিয়ানমার ইস্যুতে ঢাকা-দিল্লিকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

মিয়ানমার পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে চলমান অস্থিরতা আগামীতে আরও বাড়তে পারে। তা বাংলাদেশ ও ভারতসহ প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোর জন্য নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করতে পারে। 

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু গতকাল শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এ ধরনের সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। 

ওয়াশিংটনের থিঙ্কট্যাঙ্ক ইউএস ইনস্টিটিউট অব পিসের (ইউএসআইপি) এক অনুষ্ঠানে শনিবার কথা বলেন ডোনাল্ড লু। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের ২ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র বিভাগ, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল ও পেন্টাগনের অন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও এদিন ইউএসআইপির অনুষ্ঠানে নিজেদের মূল্যায়ন তুলে ধরেন। 

বক্তৃতায় ডোনাল্ড লু বলেন, মিয়ানমার পরিস্থিতির সহসাই উন্নতি হচ্ছে না। এ কারণে বাংলাদেশ ও সম্ভবত ভারতের জন্যও যে শরণার্থী সংকট ও নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে, যা সামনে আরও গভীর হতে পারে।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মতানৈক্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারত-চীন সীমান্ত সংঘাত এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিক ও গভীর সংঘাতর কথা সংক্ষেপে তুলে ধরে ডোনাল্ড লু। মিয়ানমার পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে কীভাবে প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে নিজে বেশি সময় ব্যয় করেছেনে বলে জানান বাইডেন প্রশাসনের এ কর্মকর্তা। 

লু বলেন, আমি বাংলাদেশ, সেখানে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বার্মায় অস্থিরতা এই অঞ্চলের জন্য কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে অনেক সময় ব্যয় করেছি। ১০ লাখেরও বেশি লোকের জন্য ঢাকা যে উদারতা দেখিয়েছে তার সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বড় পরিসরে কাজ করেছে। আমার বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির কক্সবাজার পরিদর্শন করার সুযোগ হয়েছে। আমি এসব শরণার্থীকে ঘরে ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোর একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও প্রত্যক্ষ করেছি।

সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস