ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগ হারুনের বিরুদ্ধে

গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কারীকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে হেফাজতে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর– শেষবারের মতো আলোচনায় আসেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তা অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। সমোলোচিত এ সাবেক ডিবি প্রধান বিসিএস চাকরিতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। 

আজ শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) জাতীয় এক দৈনিক ‘হাওরে বিপুল সম্পদ সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের’ এ রিপোর্টে তার বাবা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এ তথ্য প্রকাশ করে।  

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হারুন অর রশীদ কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবদুল হাসেম ও মা জহুরা খাতুন। সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ এর প্রয়াত পিতা আব্দুল হাশেম ঘাগড়া বাজারে চালের কারবার করতেন। হাওরের সেচ প্রকল্পেও শ্রম দিতেন। 

হারুন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স, এমএসএস করেন। লেখাপড়া শেষে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি পান। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার এসে তার পদায়ন আটকে দেয়। ওয়ান-ইলেভেনের সময় হারুনের চাকরি স্থায়ী হয়।

এলাকাবাসী জানায়, হারুনের বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। আর তার বাবার চাচা ইদ্রিস ওরফে ইদু মোল্লা ছিলেন কুখ্যাত রাজাকার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজীপুরের এসপি থাকাকালীনই হারুনের ‘ভাগ্যবদল’ ঘটে। সূত্রগুলো জানায়, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের এসপি থাকার সময় থেকেই হারুন তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে বাড়ির পাশের হাওরে জমি কিনতে শুরু করেন। নামে-বেনামে তার কমপক্ষে ১০০ একর জমি রয়েছে। আবার শতাধিক একর অন্যের জমি তার দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রেও হারুনের শতকোটি টাকার সম্পদ থাকার গুঞ্জন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের জুলাইয়ে জাতীয় সংসদের সামনে এক মিছিলে তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুককে মারধর করে প্রথম আলোচনায় আসা হারুন এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। গোয়েন্দা পুলিশের মানুষকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভাত খাইয়ে ভিডিও ছেড়ে দেয়া, বিরোধী দলের প্রতিটি আন্দোলনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে 'বোমা ও বাঁশের লাঠিসোটা' উদ্ধার, প্রতিদিনই সাংবাদিকদের একাধিকবার ব্রিফিং করা, তারকাদের সাথে ফটোসেশন, যাকে তাকে ডিবিতে তুলে নিয়ে আসা, হেফাজতে নির্যাতন, আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়–এমন নানান নেতিবাচক কাজে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচিত এই কর্মকর্তা।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh