‘বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন’

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশের সংস্কার ও উন্নয়নে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়, উভয় পক্ষের মধ্যে হওয়া চুক্তি ও ঐকমত্য বাস্তবায়ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত সহযোগিতা এগিয়ে নিতে প্রস্তুত রয়েছে চীন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে যত পরিবর্তনই আসুক না কেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের অঙ্গীকার অপরিবর্তিত রয়েছে।’

আজ রবিবার (২৫ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও। এসময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানান। একই সঙ্গে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবেও অভিনন্দন জানান।

তিনি দারিদ্র্যমুক্ত ও গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমর্থনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করে। বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনভাবে উন্নয়নের জন্য যে পথ বেছে নেবে চীন তাতে সম্মান জানাবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে ঐক্য, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বিষয়গুলো উপলব্ধি করবে বলে আশাবাদী।

ইয়াও বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী এবং ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদার।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং উভয় পক্ষই সমানভাবে উপকারভোগী হিসেবে একটি মডেল স্থাপন করে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা, জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে চীন দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

চীন বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা ত্বরান্বিত, চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ চুক্তি অনুকূল, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রা নিষ্পত্তিকে উৎসাহিত করবে এবং চীনা উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে সহায়তা করবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০২৫ সালে অনুষ্ঠেয় চীন-বাংলাদেশ ইয়ার অব পিপল টু পিপল এক্সচেঞ্জ আয়োজন ও কার্যক্রম পরিচালনায় চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, চীন সর্ব স্তরে এবং বিভিন্ন খাতে সফর ও বিনিময় বজায় রাখবে, সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতা অংশীদারিত্বকে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও পুনর্ব্যক্ত করেন যে, চীন যুদ্ধবিরতির জন্য মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে উৎসাহিত এবং তাদের সঙ্গে জড়িত হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, যাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা যায়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //