আমরা ব্যর্থ হলে হাসিনা কারও অস্তিত্ব রাখবে না: সারজিস

ছাত্র-জনতা ব্যর্থ হলে শেখ হাসিনা কারও অস্তিত্ব রাখবে না বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। 

তিনি বলেন, ‘খুনি হাসিনা ও তার দোসরেরা সব দিক দিয়ে চেষ্টা করছে, আমরা যেন সফল না হই। কোনোভাবে যদি আমরা ব্যর্থ হই, আমরা এখানে যারা রয়েছি, তাদের কারোরই অস্তিত্ব খুনি হাসিনা রাখবে না। ৫ আগস্ট এর আগে অনেক শহীদের পরিবার রয়েছে ঠিকমতো লাশ দাফন করতে দেওয়া হয় নাই। বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয় নাই৷ হয়রানি করা হয়েছে। আবার যদি খুনি হাসিনার দোসররা আসে, তাহলে ওই কাজ করা হবে।’

আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে নিহত হওয়া ৫৫ জনের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদানের বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বেলা ১১টা ৯ মিনিটে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ বীরদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সারজিস আলম বলেন, ‘কালো শকুনদের খারাপ চক্রান্ত এখনও থামেনি।  আপনাদের দোয়ায় যদি বেঁচে থাকতে পারি তাহলে কোন শহীদ পরিবার ও আহতদের গায়ে একটি টোকাও লাগতে দিব না।  শহীদ পরিবার ও আহত ভাইদের কাউকে দুর্দশাগ্রস্ত জীবন যাপন করতে হবে না। এটি করতে হয়তো একটু সময় লাগবে। আমরা জীবনের বিনিময়ে সবটুকু দিয়ে সব সময় আপনাদের পাশে থাকব।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সকলের দায়িত্ব যে স্বপ্ন নিয়ে, যে স্পিরিট নিয়ে এই অভ্যুত্থান হয়েছে সেটিকে রক্ষা করা। আমরা একদিকে যেমন সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করব, অপরদিকে প্রশাসনসহ সকল স্তরে সার্বিক কাজে সহযোগিতাও করব। প্রশাসনের যারা হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ছিল, ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এখন যারা প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করছে এটি তাদের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ তারা আজ এ জায়গায় বসেছেন এই অভ্যুত্থানের ফলে।’

অনুষ্ঠান শুরু করার আগে শহীদ পরিবারের সদস্যদের কাছে গিয়ে খোঁজ নেন সারজিস আলম। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। 

এ সময় তিনি বলেন, ‘আহাজারি ও দুঃখ দেখে কেউ ঠিক থাকতে পারি না। দেশের প্রতিটি মানুষ এই শহীদ পরিবারের কাছে ঋণী।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. ইউসুফ আলী, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম) মোহাম্মদ শরিফুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি চিকিৎসা কর্মকর্তা তুবাউল জান্নান, শহীদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন প্রমুখ।

জুলাই অভ্যুত্থানে শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে নিহত হয় আমার ছেলে। সে বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তাকে অনেক নিষেধ করেও ঘরে আটকে রাখতে পারিনি। সন্তান হারানোর মতো এ ধরনের পরিস্থিতিতে কাউকে যেন না পরতে হয়।’


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh