অপরাধী ও তাদের আদেশ দানকারীদের বিচার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি উন্নত হবে বলে মন্তব্য করেছেন গুম সংক্রান্ত কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে জাতীয় গুম কমিশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মইনুল ইসলাম বলেন, “কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, গুমের সাথে জড়িত কিছু ব্যক্তির জন্য পুরো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার যে সকল সদস্যরা গুমের সাথে জড়িত, তা তাদের ব্যক্তিগত ফৌজদারি দায়। এতে কমিউনিটিকে দোষারোপ করার কোনো সুযোগ নেই।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে গত দুই-আড়াই বছরে আটক এক হাজার ৬৭ জন বাংলাদেশির নাম ঠিকানাসহ একটি তালিকা হাতে এসেছে। এ তালিকায় গুমের শিকার কোনো ব্যক্তির নাম আছে কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
কমিশনে এখন পর্যন্ত ১৭৫২ টি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্য হতে প্রায় এক হাজারটি অভিযোগ ও কাগজপত্রের যাচাই-বাছাই প্রাথমিকভাবে শেষ হয়েছে।
কমিশনে আসা ২৬০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৪৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।
গুমের শিকার হয়ে ফিরে না আসা ৩৩০ জন ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা বা ভাগ্য সম্পর্কে অনুসন্ধান চলমান বলও মন্তব্য করা হয়।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : গুম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফৌজদারি অপরাধ
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh