নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম
আপডেট: ২৭ মে ২০২৩, ০৬:০১ পিএম
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ২৭ মে ২০২৩, ০৬:০১ পিএম
করের আওতা বাড়াতে প্রত্যেক জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ডধারীকে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ শনিবার (২৭ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত আবুল মাল আব্দুল মুহিতের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে করহার অনেক বেশি। যে কারণে কর ফাঁকি বেশি। কর বেষ্টনি বাড়াতে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের বিধান থাকা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে এটা আছে।
তিনি বলেন, মুহিত ভাই অর্থমন্ত্রী থাকার সময় আমি করের আওতা বাড়ানোর জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র যাদের আছে, তাদের সবাইকে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটি হয়নি আমলাতন্ত্রের কারণে, এনআইডি যাদের আছে সবাইকে করের আওতায় আনতে পারলে সাত থেকে আট শতাংশ কর জিডিপির হার বাড়বে। বর্তমানে এক শতাংশ মানুষ করের আওতায় রয়েছে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশ অথচ ট্যাক্স দেয় মাত্র সাড়ে সাত থেকে আট শতাংশ লোক। তখন আমি ভাইকে বলেছিলাম, আমেরিকায় যাদের সোস্যাল সিকিউরিটি কার্ড আছে তাদের ট্যাক্স দিতে হয়। যাদের সাড়ে ৩ হাজার ডলারের নিচে তাদের ট্যাক্স দিতে হয় না। আর যাদের এর ওপরে তাদের ট্যাক্স দিতে হয়। অথচ আমাদের দেশে করদাতা টিন নম্বর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। এমনকি কোম্পানি ও কর্পোরেশনগুলো টিন নম্বর করেছে। এজন্য আমি বলেছিলাম, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্স দিতে হবে। এটা সম্ভব। তিনি এ বিষয়ে আমলাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বলেছেন। এখন এটা আমার দাবি, কারণ আমাদের করদাতা বাড়াতে হবে। এজন্য যারই এনআইডি থাকবে তাকেই ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত জুটির কারণে দেশ ও মানুষের মঙ্গল হয়েছে। কারণ শেখ হাসিনা মানুষের মঙ্গল চান। আর এই মঙ্গলকে কীভাবে অর্জন করা যায়, সেই মাধ্যম বের করতেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই সাথে সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য এই জুটি সব সময় কাজ করেছেন। তার ফলে আজ আমাদের দেশের চেহারা পালটে গেছে। দেশ উন্নত হচ্ছে, আজকে ২৪ ঘণ্টার পথ ৪৫ মিনিটে যেতে পারছি। সেটা সম্ভব হয়েছে এরকম কৃতিপুরুষ ছিল বলে। আমরা তার মাগফেরাত কমনা করছি।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ২০০১ সালে হুমায়ুন রশীদ হঠাৎ মারা গেলেন। তখন সৌদি আরবে চাকরিতে। তখন নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাকে ফোন করলেন। প্রস্তাব দিলেন নির্বাচনের জন্য। আমি রাজি না হয়ে বললাম আমার কাছে ভালো প্রার্থী আছে। নেত্রী জানতে চাইলে বললাম আমার বড় ভাই। তখন শেখ হাসিনা বলেন, তিনি মেজাজ গরম মানুষ। পরে আমি দায়িত্ব নিলাম। মুহিত ভাইয়ের সঙ্গে কথা বললাম।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আবুল মাল আবদুল মুহিতকে সুযোগ দিয়েছেন, যে কারণে দেশে অর্থনৈতিক চিন্তা, অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। তাই এই কৃতিত্বের জন্য সবচেয়ে প্রশংসার দাবিদার শেখ হাসিনা।
সৌদিতে স্থায়ী মিশন খোলার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সহযোগিতা পাওয়ার কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সময় ২৭টি মিশন করা হয়েছে এবং কেনা হয়েছে। সৌদি আরবে ৩৭ বছর পর শেখ হাসিনার সময়ে মিশন হয়েছে। সব মিলিয়ে নিজেদের মিশন থাকার কারণে সরকারের ৪৭ হাজার ডলারের মতো সেভ হচ্ছে।
ইআরএফ কার্যালয়ে আয়োজিত স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির ও সাবেক অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ।
ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। সাংবাদিকদের অনেক স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh