আগামী ১ জুলাই থেকে ব্যাংক ঋণে ৯ শতাংশ সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা তুলে দিয়ে নতুন পদ্ধতি চালু হচ্ছে। এ উপায়ে প্রতি মাসেই সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ঠিক করে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে ব্যাংক কোনো সুদ আরোপ করার পর ছয় মাসের মধ্যে গ্রাহকের জন্য তা পরিবর্তন করতে পারবে না। গ্রাহককে অবহিত করে প্রতি ৬ মাস পরপর ঋণের সুদহার পরিবর্তন করা যাবে।
মুদ্রানীতি ঘোষণার পরদিন আজ সোমবার (১৯ জুন) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ছয় মাসের মধ্যে সুদহার বাড়লেও ব্যাংক গ্রাহকের সুদ বাড়াতে পারবে না। আবার সুদহার কমলেও গ্রাহকের সুদ কমবে না।
নতুন নিয়মে আপাতত সাধারণ ঋণের সর্বোচ্চ সুদ ১০ শতাংশের নিচে থাকবে। তবে সিএমএসএমই, ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে তদারকি ফিসহ সুদহার দাঁড়াবে ১১ শতাংশে। আর কৃষি ঋণে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ৮ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশের কাছাকাছি ঠেকবে। ক্রেডিট কার্ডে বর্তমানের মতো ২০ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ১৮২দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের বাজার সুদকে ভিত্তি ধরে একটি রেফারেন্স রেট নির্ণয় করবে যা ‘স্মার্ট’ তথা– সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল নামে অভিহিত হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ প্রতিমাসের প্রথম কর্মদিবসে রেট প্রকাশ করবে। এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করবে। কৃষি ঋণে স্মার্টের সঙ্গে যোগ করা যাবে ২ শতাংশ। সিএমএসএমই এবং ভোক্তা ঋণের আওতায় ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ির ঋণে বছরে একবার অতিরিক্ত ১ শতাংশ সুপারভিশন চার্জ নেওয়া যাবে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : ব্যাংক ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি ঘোষণা
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh