ঈদ বাজারে যেভাবে চিনবেন জাল টাকা

ঈদ এলেই বাজারে জাল নোটের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়।কারণ বছরের দুই ঈদে নগদ টাকার লেনদেন বাড়ে। সারা বছর জাল টাকার ব্যবসা থাকলেও বছরের এই সময়কে কাজে লাগায় জাল নোট ব্যবসায়ী চক্র। 

ফলে আসল নোট চেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। টাকায় থাকা নিরাপত্তা সুতা, রং পরিবর্তনশীল কালি, অসমতল ছাপা, জল ছাপ ইত্যাদি দেখলেই সহজে বোঝা যায় নোট আসল, না কি জাল।

খসখসে পৃষ্ঠ : সবচেয়ে বেশি জাল হয়ে থাকে ১ হাজার টাকার নোট। এই তালিকায় রয়েছে ৫০০ ও ১০০ টাকার নোটও। প্রত্যেক ধরনের নোটের সামনে ও পেছন দুদিকেরই ডিজাইন, মধ্যভাগের লেখা, নোটের মূল্যমান এবং সাতটি সমান্তরাল সরল রেখা উঁচু-নিচুভাবে মুদ্রিত থাকে। এই অংশগুলোতে হাত দিলে খসখসে ভাব হয়। এতে বোঝা যায় নোটটি আসল।

বৃত্তাকার ছাপ : নোটের ডান দিকে ১০০ টাকার ক্ষেত্রে তিনটি, ৫০০ টাকার ক্ষেত্রে ৪টি এবং ১ হাজার টাকার নোটে ৫টি ছোট বৃত্তাকার ছাপ আছে। এগুলো হাতের স্পর্শে উঁচু নিচু লাগে।

স্পষ্ট জলছাপ : জাল নোটে জলছাপ অস্পষ্ট ও নিম্নমানের হয়ে থাকে। অন্যদিকে, আসল নোটে ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি’, ‘বাঘের মাথা’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মনোগ্রাম’ এর স্পষ্ট জলছাপ রয়েছে। আলোর বিপরীতে উভয়টিই দেখা যাবে।

নিরপত্তা সুতা : জাল টাকা চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে এর নিরাপত্তা সুতা। ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক নোটেই এর মূল্যমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সম্বলিত নিরাপত্তা সুতা থাকে। নিরাপত্তা সুতার ৪টি স্থানে নোটের মূল্যমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো মুদ্রিত থাকে। নোট চিত করে ধরলে নিরাপত্তা সুতার এর মূল্যমান লোগো দেখা যায়। এই নিরাপত্তা সুতা অনেক মজবুত এবং নোটের কাগজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি নখের আঁচড়ে বা নোট মুচড়িয়ে কোনোভাবে উঠানো সম্ভব নয়। কিন্তু, জাল নোটের নিরাপত্তা সুতা সহজেই নখের আঁচড়ে উঠে যায়।

রং পরিবর্তনশীল কালি : নোটের ওপরের ডান কোনায় ইংরেজি সংখ্যায় লেখা নোটের মূল্যমান রং পরিবর্তনশীল কালিতে মুদ্রিত রয়েছে। ১০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট আস্তে আস্তে নড়াচড়া করলে নোটের মূল্যমান লেখাটি সোনালি হতে ক্রমেই সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয়। ৫০০ টাকা মূল্যমানের নোটের ক্ষেত্রে যা লালচে থেকে সবুজে পরিবর্তিত হয়। জাল নোটে ব্যবহৃত রং চকচক করলেও তা পরিবর্তিত হয় না।

মনোগ্রাম ও প্রতিকৃতি : প্রত্যেক প্রকার টাকার নোটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম ও নোটের মূল্যমান জলছাপ হিসেবে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম ও নোটের মূল্যমান প্রতিকৃতির তুলনায় উজ্জ্বল দেখায়। জাল নোটে এসব বৈশিষ্ট্য থাকে না। ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে জাল নোট সহজেই পরীক্ষা করা যায়। নকল নোট ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখলে শুধু একটা রেখা দেখা যাবে।

সুতরাং অর্থ লেনদেনের সময় তাড়াহুড়া না করে একটু সতর্ক হয়ে নোট দেখে নিতে হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //