নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
আর্থিক ক্ষতি কেটে গেলেও স্থিতিশীলতা আনতে গত পাঁচ মাসের অর্জনে খুব খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এমনটা মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গত পাঁচ মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন, ব্যাংকিং টাস্কফোর্স গঠন, ডলার বাজার স্থিতিশীলতা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বহু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিখা।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কিছু সুফল পাওয়া গেছে। আবার কিছু ফলাফল আসতে আরো সময় লাগবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র বলেন, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ কোন ব্যাংকের মাধ্যমে কত টাকা কোন দেশে পাচার হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানা যাবে। পাচারের টাকা ফেরত আনা একটি সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। নির্ধারিত সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা এই বিষয়গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেন না।
মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা ইতিমধ্যেই একাধিকবার নীতি সুদহার বাড়িয়েছি। আশা করছি জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। না আসলে হয়তো আবারও নীতি সুদহার বাড়ানো হতে পারে। তবে এই বিষয়টাতে ব্যবসায়ীরা মোটেই খুশি নন।
কারণ ব্যাংক ঋণের জন্য তাদের অতিরিক্ত সুদ গুনতে হয়। বিনিয়োগেও ধীরগতি নেমে আসে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাগুলোকে ঠিকঠাক মতো কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। কারণ বিনিয়োগ কমার জন্য শুধু সুদের হার এককভাবে দায়ী নয়।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জ্বালানি সরবরাহ, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ আরো অনেক কিছু বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক প্রচেষ্টায় মূল্যস্ফীতি পুরোপুরিভাবে কমানো সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের নভেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়েছিল, যা ২০২১ সালের মে মাসের পর সর্বনিম্ন। ওই বছরের মে মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত নভেম্বরে অর্জিত প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে নিচে রয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে জুলাই-ডিসেম্বরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৯ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh