প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এরই মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় অর্থনীতিবদ ও গবেষকরা বলছেন, বাজেট আশানরূপ হয় নি এবং ঘাটতি আরো বাড়বে। অন্যদিকে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবমুখী ও ব্যবসাবান্ধব বলে অভিহিত করেছেন।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এই সময়ে বাজেটে নতুন কিছু প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সরকার একটি সাধারণ বাজেট দিয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে কৌশলগত ৪টি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। সরকারি ব্যয় বাড়ানো, বিশেষ ঋণ সুবিধা দেয়া, নিরাপত্তাবলয় সম্প্রসারণ এবং বাজারে তারল্য সঞ্চালন। এই ৪টি লক্ষ্য খুবই সঠিক। কিন্তু যে বাজেট কাঠামোর ওপর এটিকে দাঁড় করানো হয়েছে, সেটি একেবারেই বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বাজেটে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অতিরঞ্জিত। উদাহরণস্বরূপ, রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা বাস্তব নয়। কারণ আমরা জানি, রাজস্ব ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থাকবে। এর মানে হলো- সরকার এবার যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে, তাতে দেড়গুণ বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে। এই হারে রাজস্ব আদায়ের উদাহরণ দেশের ইতিহাসে নেই। এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এর মানে হলো, সরকার যদি তার ব্যয় কাঠামো ঠিক রাখে, তাহলে ঘাটতি আরো বাড়বে। অন্যদিকে বাজেট ঘাটতি মেটাতে ৪৫ শতাংশ অর্থই সরকার ব্যাংক থেকে নিচ্ছে।

কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, বাজেট বাস্তবায়নের অনেক দুর্বলতা রয়েছে, সেটি মোটামুটি সবাই জানেন। এবার সেটি আরো কঠিন বিষয় হবে। সে কারণে বাজেটের সাথে কোনো সংস্কার পদক্ষেপ না এলে, সেটি বাস্তবায়ন কঠিন। কর কাঠামোর মধ্যে সংস্কার আনতে হবে। যারা কর না দিয়ে টাকা বিদেশে পাচার করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে প্রকৃত করদাতা নিরুৎসাহিত হবে। অন্যদিকে সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে নজরদারির ব্যবস্থা না থাকলে এই টাকা প্রকৃত জায়গায় পৌঁছাবে না। করোনার এই সময়টাতে দেখেছি, দরিদ্র মানুষের সহায়তা এবং কেনাকাটার ক্ষেত্রে কী ধরনের অনিয়ম হয়েছে। গত এক দশকে সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি নির্ভরশীল একটি উন্নয়নের আখ্যান দাঁড় করিয়েছে।

সিপিডির অর্থনীতি বিশ্লেষ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, রাজনৈতিক কারণে উচ্চাভিলাসী এই বাজেট দেয়া হলেও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় লক্ষ্যমাত্রাগুলো নির্ধারণ করা যুক্তিযুক্ত হয়নি। বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না। রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হবে না। আবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হবে না। বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট উপস্থাপন হলে ভালো হতো। কারণ, অবাস্তবায়নযোগ্য বাজেট দেয়াতে একদিকে অর্থের অভাবে অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ হয় না। অপরদিকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ দেয়ার সুযোগই থাকে না। এই কারণে এই বাজেটের বাস্তব সম্মত লক্ষ্যমাত্রা পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক আনু মোহাম্মদ বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অনৈতিক। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আরো বেশি সম্প্রসারিত করা হয়েছে। এটা  নৈতিকভাবে প্রত্যাশিত নয়। এই ধরনের সুযোগ দেয়া হলেও বাস্তবে অর্থনীতিকভাবেও খুব একটা কাজে আসে না, রাজনৈতিক দিক থেকেই এটাও গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণ এটাকে ভালোভাবে দেখে না। ফলে এটা সরকারের পক্ষেও যাবে না। কারণ যারা ২৫-৩০ শতাংশ ট্যাক্স দিয়েছেন, আর যারা সেটা না দিয়ে এখন ১০ শতাংশ কর দিয়ে বিনিয়োগ সুবিধা পাচ্ছেন; তা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।’

তিনি আরো বলেন, করোনার কারণে সামাজিক সুরক্ষা খাতে যে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে, তা আরো বাড়ানোর দরকার ছিল। বাজেটের অর্থ সাশ্রয়ের বিষেয়ে কোনো বক্তব্য নেই। 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, রাজস্ব আহরণের গতি-প্রকৃতি অর্থবছরের শুরু থেকেই ভালো ছিল না। করোনা আসার পর তা বেশি খারাপ হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবছর কোনো ধরনের সংস্কার ছাড়াই এনবিআরের জন্য বড় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। এক লাফে ৩০-৩৫ শতাংশের বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা বাস্তসম্মত নয়। জিডিপির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা অর্জন সম্ভব নয়। এসব লক্ষ্যমাত্রা কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এবারে বাজেটে কিছুটা ঘাটতি হবে। আমি মনে করি এই ঘাটতি ৬ থেকে ৭ শতাংশ হলেও সমস্যা হবে না। তবে এই বড় ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস অর্থাৎ ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে।

সাবেক এই গভর্নর আরো বলেন, এমনিতেই ব্যাংকগুলো নিজেরাই সংকটে রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজও চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। তার ওপর ঘাটতি মেটাতে আবার ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর হওয়া ঠিক হবে না।

পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, যখন সারা বিশ্ব এক মহামারির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও মন্দ সময় পার করছে।  বেকারত্ব বেড়েছে, দারিদ্র্য বেড়ে গেছে। এ দারিদ্র্য হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছিল। এখন বলা হচ্ছে তা ৩৫ শতাংশে পৌঁছে গেছে। অনেক মানুষ নিভর্রশীল হয়ে পড়েছে খাদ্য প্যাকেট বা নগদ অনুদানের ওপরে। সেটা একটা দিক। আরেকটি দিক হলো, কভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ছে। যত পরীক্ষা হচ্ছে, ততই শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাজেটটা আসলো। আপাতত এই পরিস্থিতিতে বাজেটকে স্বাগত জানাই। 

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে ২৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এটা চিরায়ত যেটা থাকে, বাজেটের ৫ শতাংশ আর জাতীয় আয়ের শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। এটা বাড়েনি। এটা বাড়ানো যেতো। কারণ, সর্বজনীন স্বাস্থ্য তো এক বছরে হবে না। কিন্তু এর একটি ভিত্তি নির্মাণের প্রচেষ্টা থাকতে পারত। কমিউনিটি ক্লিনিককে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্য পরিষেবা বাড়ানোর চেষ্টা করা যেতে পারত। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অনেক টাকা বাড়ানো হয়েছে। সেটা ঠিক আছে। কারণ অনেক মানুষকে বেশ কিছুদিন সহায়তা করতে হবে। এবার আসি কৃষিতে। ধান-চালের বাইরে অন্য খাত যেমন- পোলট্রিতে বেশ অসুবিধা হয়ে গেছে। এখানে ২২ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে কৃষি খাদ্য ও মৎস্যে। পল্লী উন্নয়নে ৩৯ হাজার কোটি টাকা আছে। টাকা আছে কিন্তু ঠিকমতো ব্যয় তো করতে হবে।

মানবসম্পদ খাত নিয়ে বাজেটে তেমন আলোচনা হয়নি জানিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, বাজেটের বিভিন্ন আলোচনায় অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের বিষয়টিতে জোর দেয়া হচ্ছে। মানবসম্পদ খাতেও কভিডের প্রভাব অনেক বেশি, যদিও এ বিষয়ে তেমন কোনো আলোচনা হচ্ছে না। প্রস্তাবিত বাজেটেও পিছিয়ে পড়া মানবসম্পদ খাতের পুনরুদ্ধারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোকপাত করা হয়নি। নীতি-নির্ধারকরা কেন জানি এ বিষয়টিকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। মানবসম্পদ খাতের উন্নয়ন না করে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। যদিও বাজেটে শিক্ষাসহ মানবসম্পদ সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে বরাদ্দের হার সন্তোষজনক পর্যায়ের নয়। এখনো জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে মানবসম্পদ খাতের উন্নয়নে বড় আকারের বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থ ও সুস্পষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য দিক নির্দেশনাও থাকতে হবে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এবারের  বাজেটে ঘাটতি আরো বাড়বে। প্রতিবার দেখা যায়, সরকার উচ্চ লক্ষ্যমাত্রার বাজেট দেয়। সেখানে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা বড় একটি ঘাটতি থাকে। এ বছর কভিড-১৯ অর্থনীতি প্রায় অচল করে দিয়েছে। করোনা সংকটে সংগতি রেখে সরকার চেষ্টা করেছে বাজেট বাস্তবসম্মত করতে। স্বাস্থ্য খাতে এবার বরাদ্দ বেড়েছে। তবে এ খাতে দুর্নীতি একটি বড় সমস্যা। সেগুলো বন্ধ করতে হবে। পরিকল্পনা, নিয়োগ, স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদির কেনাকাটা বাড়াতে হবে। বরাদ্দের টাকাটা জনকল্যাণে সঠিকভাবে ব্যয় করতে হবে। তাহলে বরাদ্দের প্রকৃত সুফল পাবে জনগণ।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম বলেন, এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, এটি সাধুবাদ পেলেও ভয়াবহ সংকট মোকাবিলায় সেটি যথেষ্ট কি না; তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আমরা যে বড় ধরনের স্বাস্থ্যগত সংকট দেখছি এবং সেই সংকট মোকাবিলায় যে অস্থিরতা, অদক্ষতা, সক্ষমতার অভাব দেখছি এটা কিন্তু একদিনে হয়নি; এটা দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ফলাফল। আমাদের স্বাস্থ্যখাত, বিশেষ করে সরকারি স্বাস্থ্যখাতকে দীর্ঘদিন অবহেলা করা হয়েছে এবং আমরা বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতেও দেখছি দায়বদ্ধতার একটা বড় ধরনের অভাব। এই যে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ফলাফল সেটারই প্রতিফলন আমরা  দেখছি এই স্বাস্থ্য সংকটে এবং সরকারি স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশায়। এই বছরের বাজেটের লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল কভিড-১৯ মহামারির ফলে স্বাস্থ্যখাত ও অর্থনীতিতে যে সব অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, সেগুলো মোকাবিলা করা এবং অর্থনীতিকে গতিশীল করা।  প্রস্তাবিত বাজেটে সে দিক থেকে আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি। 

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। এ বাজেটকে বাস্তবমুখী ও ব্যবসাবান্ধব বলে অভিহিত করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট কর হ্রাসসহ বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যা অর্জন করা কঠিন। তবে ব্যবসাবান্ধব এ বাজেট বাস্তবায়ন হলে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের যে ক্ষতি, তা পুষিয়ে নেয়া যাবে। 

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) বলছে, এই ব্যবসাবান্ধব বাজেট বাস্তবায়ন হলে করোনার ক্ষতি পোষানো সম্ভব। বাজেটে করপোরেট কর হ্রাসসহ বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা অর্জন করা কঠিন। 

সংগঠনটি আরো বলেছে, যেহেতু বাজেটের ঘাটতি ব্যয় মেটাতে আর্থিক খাতের ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অর্থনীতিতে করোনা ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যাংকিং খাত ব্যাপকভাবে জড়িত, তাই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও সাবেক বিশিষ্ট ব্যাংকারদের নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী আর্থিক খাত পরামর্শক কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করছি; যা করোনা দুর্যোগের সময়ে আর্থিক খাত সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য দিক-নির্দেশনা দেবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //