Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

বাংলাদেশ থেকে উচ্চমূল্যের পোশাক কিনতে চায় জাপান

Icon

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৮

বাংলাদেশ থেকে উচ্চমূল্যের পোশাক কিনতে চায় জাপান

বিজিএমইএর সঙ্গে জাপান টেক্সটাইল ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠক

জাপানের ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে উচ্চমূল্যের ও বৈচিত্র্যপূর্ণ পোশাক আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এজন্য তারা দ্রুততম সময়ে পণ্য হাতে পাওয়া এবং একটি মসৃণ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।

সোমবার পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সঙ্গে এক বৈঠকে এই আগ্রহের কথা জানায় জাপান টেক্সটাইল ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (জেটিআইএ)।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং জাপানের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখন বাজার বহুমুখীকরণের ওপর কৌশলগতভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। এক্ষেত্রে জাপান একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় বাজার।”

পোশাক শিল্পের রূপান্তর সম্পর্কে তিনি বলেন, “পোশাক শিল্প এখন শুধু প্রাথমিক তুলাভিত্তিক পণ্যের ওপর নির্ভর করছে না। আমরা সিনথেটিক ফ্যাব্রিক্স ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইল উৎপাদনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যাতে উচ্চমূল্যের পণ্যের বাজারে প্রবেশ করা সম্ভব হয়।”

জাপানি ক্রেতাদের বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

জেটিআইএ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের পোশাক খাতের অগ্রগতি, বিশেষ করে সামাজিক ও পরিবেশগত মান বজায় রাখা এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

তারা জানান, উচ্চমানের পোশাক উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যে কারণে জাপানি ক্রেতারা এখন বাংলাদেশকে উচ্চমূল্যের ও ফ্যাশনেবল পণ্যের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে বিবেচনা করছেন।

বৈঠকে সরবরাহ ব্যবস্থা মসৃণ করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়। 

জেটিআইএ প্রতিনিধি দল জানান, জাপানি ক্রেতারা সর্বনিম্ন সময়ে পণ্য গ্রহণকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেন। এজন্য তারা কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজ করা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম আরও দক্ষ করার পরামর্শ দেন।

এসময় বিজিএমইএ নেতারা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জাপান সফরের ক্ষেত্রে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানান। জবাবে জেটিআইএ প্রতিনিধিরা বিষয়টি নিয়ে জাপান সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রভাব নিয়েও আলোচনা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান জেটিআইএকে অনুরোধ করেন, তারা যেন জাপান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করে যে, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ যেন শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পায়।

তিনি প্রস্তাব করেন, এই সুবিধা একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) বা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) আওতায় অব্যাহত রাখা যেতে পারে।

বৈঠকে জেটিআইএ প্রতিনিধি দলে ছিলেন তোশিনাও কাওয়াই, ইসেই নোজাওয়া, শিনগো ইগামি, নোরিহিরো কোমিয়া ও মিনামি কোজিরো।

বিজিএমইএর পক্ষে সভাপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি এনামুল হক খান (বাবুল), সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী এবং পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, নাফিস উদ দৌলা, সুমাইয়া ইসলাম, ফাহিমা আক্তার, জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কোমার আলম, রুমানা রশিদ ও মোহাম্মদ সোহেল।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫