দেশকে উন্নত করতে ব্যবসা-বাণিজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছতে হলে ব্যবসা-বাণিজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর আমরা যতই ব্যবসা-বাণিজ্য করি, তার চেয়ে বড় কথা আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে রফতানি বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, এজন্য আমরা রফতানি আরো অধিক দেশে করতে চাই। সবথেকে অগ্রাধিকার দিতে চাই প্রতিবেশী দেশগুলোকে। সেজন্য আমাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে সমঝোতা স্মারক করেছি। 

তিনি আরো বলেন, এছাড়া দেশে যাতে বিনিয়োগ আসে, সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি।

আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিদেশি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরো বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজেরা ব্যবসা করি না কিন্তু আমরা ব্যবসাবান্ধব সরকার।

বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগবান্ধব নীতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। বাংলাদেশে যারা বিনিয়োগ করবে, তাদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, একটি দেশকে যদি উন্নত করতে হয়, তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, মানুষকে কর্মক্ষম করা, প্রশিক্ষণ দেয়া, তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা ও অন্যান্য অবকাঠামোগত সুবিধা সৃষ্টি করা একান্তভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করলাম, তখন সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ আজ সেই মন্দা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের রফতানিও ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। ৮.১৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন বৃদ্ধি করে যাচ্ছি। দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ থেকে ২০.৫ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য আরো কীভাবে সহজ করা যায়, আমরা সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি। আমাদের রিজার্ভ যথেষ্ট ভালো। প্রত্যেকটা দূতাবাসে আমাদের নির্দেশনা দেয়া আছে, সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশের একটা মার্কেটিং কীভাবে গড়ে তোলা যায়। সেভাবে তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে। এখন ডিপ্লোমেসিটা শুধু কূটনীতিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। এখন ডিপ্লোমেসি করতে হবে ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি।

তিনি আরো বলেন, আইসিটিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। যত বেশি ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রফতানি করতে পারবো, দেশ তত বেশি উন্নত হবে। আইসিটি একসময় এ দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হয়ে দাঁড়াবে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সবদিক থেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে দিচ্ছি। পূর্বাচলে আমরা নতুন জায়গায় বাণিজ্য কেন্দ্র করে দিচ্ছি। আমি আশা করি আগামী বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে করতে পারবো। বাণিজ্য মেলা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য একটা বড় ভূমিকা পালন করবে। এই মেলা আমাদের আরো উন্নয়নের পথ খুলে দেবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস-চেয়ারম্যান ফাতিমা ইয়াসমিন। 

এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বাণিজ্য সচিব ড. মোহাম্মদ জাফর উদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //