সাড়ে ১৭ হাজার কোটিতে হবে প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) বৈদেশিক ঋণ সহায়তা প্রদান করবে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে ২ হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ২ হাজার ২১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। জানুয়ারি ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ মেয়াদে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বলেন, বড় আকারের জাহাজ ভেড়ার উপযোগী করে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাট এলাকায় গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের লক্ষ্যে ‘মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই সমুদ্র বন্দর নির্মিত হলে দেশের কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই বন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চাহিদা মিটানো এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ত্বরিত বন্দরসেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

মন্ত্রী এই প্রকল্পটিকে স্বপ্নের প্রকল্প আখ্যা দিয়ে বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের মধ্যে দিয়ে বৈদেশিক বাণিজ্যে আমাদের অবস্থান আরো শক্তিশালী হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে ৩০০ ও ৪৬০ মিটার দৈর্ঘ্যরে দুটি টার্মিনাল থাকবে। এর একটি হবে বহুমুখী টার্মিনাল ও অপরটি কন্টেইনার টার্মিনাল। এছাড়া বন্দরের সাথে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। একসঙ্গে ৮ হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারবে।-বাসস