করোনার মধ্যেও ঈদের আগে রেমিটেন্স এসেছে ৮০ কোটি ডলার

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন ৮০ কোটি মার্কিন ডলার। 

যা গত বছরের একই সময়ের প্রায় সমান এবং চলতি বছরের যা পুরো এপ্রিল মাসের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ।

গত বছর মে মাসের প্রথম ১৪ দিনে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ৮৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ঈদের কারণে ধার করে হলেও প্রিয়জনদের জন্য প্রবাসীরা এই অর্থ পাঠিয়েছেন। এই নিয়ে চলতি অর্থবছরের শুরু অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে ১৪ মে পর্যন্ত ১০ মাস ১৪ দিনে মোট রেমিটেন্স এসেছে ১৫ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার।

এবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে অনেক প্রবাসী শ্রমিককে দেশে ফিরতে হওয়ায় ও যারা রয়েছেন, তাদেরও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে তেমন রেমিটেন্স আশা করা হচ্ছিল না। মার্চ থেকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ওলটপালট হয়ে যাওয়া ওই নিরাশার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছিল।

গত মার্চে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল, যা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। পরের মাস এপ্রিলে রেমিটেন্স আরো কমে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে আসে, তাও গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম।

কিন্তু মে মাসে চিত্র পাল্টাতে থাকে। প্রথম ১১ দিনে ৫১ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিটেন্স আসে, ১৩ মে পর্যন্ত আসে ৬৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ১৪ মে বৃহস্পতিবার একদিনেই আসে ১১ কোটি ২০ লাখ ডলার।

গত বছরের স্বাভাবিক মে মাসের প্রথম ১৮ দিনে যে পরিমাণ রেমিটেন্স এসেছিল, এই বছরের সেই সময়ে তা কমেনি।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা কোটি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। জিডিপিতে এই রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।

একদিকে রেমিটেন্স অন্যদিকে আমদানি কমে যাওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন বেশ সন্তোষজনক রয়েছে। গতকাল রবিবার (১৭ মে) দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //