সাইফ পাওয়ারটেকের সহযোগিতায় ছয় ধাপ এগিয়ে বন্দর

সাইফ পাওয়ারটেকের সহযোগিতায় কনটেইনার ওঠানামায় বিশ্বের ১০০ শীর্ষ সমুদ্রবন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর এখন ৫৮তম অবস্থানে উঠে এসেছে।

২০০৯ সালে দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দরের অবস্থান ছিলো ৯৮তম। ২০১৮ সালে ছিলো ৭০তম এবং ২০১৯ সালে অবস্থান ছিলো ৬৪তম। ২০২০ সালে প্রকাশিত তালিকায় ছয় ধাপ এগিয়ে এখন ৫৮তম স্থান দখলে নিলো চট্টগ্রাম বন্দর।

শিপিং বিষয়ক বিশ্বের পুরনো গণমাধ্যম লয়েডস লিস্ট ২০১৯ সালের পণ্য ওঠানামা এবং প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বসেরা ১০০ বন্দরের তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর এই অবস্থানে পৌঁছাল। গত ২৯ আগস্ট এই রিপোর্ট তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই চট্টগ্রাম বন্দরের এই অগ্রগতি। শ্রমিক থেকে শুরু করে বন্দর ব্যবহারকারী, অপারেটর এবং বন্দর কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সম্মিলিত ও নিরলস প্রচেষ্টায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। বন্দরের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে আমরা আগামী বছর পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু করছি। সক্ষমতা ধরে রাখতে মাতারবাড়ী বন্দর, বে টার্মিনালসহ অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।

লয়েডস রিপোর্ট অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২০১৯ সালে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার একক কনটেইনার ওঠানামা করেছে। আর প্রবৃদ্ধি ছিলো ৬.৩ শতাংশ। ২০১৮ সালে কনটেইনার ওঠানামা হয়েছিল ২৯ লাখ একক। অথচ ২০১৯ সালে বিশ্বের বন্দরগুলোর গড় প্রবৃদ্ধি ছিলো আড়াই শতাংশ আর চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবৃদ্ধি ছিলো প্রায় ৬ শতাংশ। দেশের পোশাকশিল্পের রপ্তানির ওপর ভর করেই চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে বলে মন্তব্য করা হয় লয়েডস লিস্টের প্রতিবেদনে। তবে অবস্থানগত উন্নতি হলেও প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণ জরুরি বলেও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে।

সি কম গ্রুপের এমডি আমিরুল হক বলেন, দেশের অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে তা আগামীতে চট্টগ্রাম বন্দর সামাল দিতে পারবে না। এখন চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি বে টার্মিনাল হবে সর্বশ্রেষ্ঠ সমাধান। বে টার্মিনাল দ্রুত বাস্তবায়ন করতে না পারলে আমরা বিশ্ব প্রতিযোগিতায় ভবিষ্যতে পিছিয়ে পড়ব।

২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে মোট কনটেইনার ওঠানামার ৬২ শতাংশই হয়েছে বন্দরের দুটি টার্মিনাল এনসিটি ও সিসিটিতে। এই দুটি টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন বলেন, আমরা যদি দক্ষতা ধরে রাখতে না পারতাম তাহলে এই অগ্রগতি সম্ভব হতো না। ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য কনটেইনার খুলে পণ্য ডেলিভারি বন্দরের ভেতর থেকে স্থানান্তর করা এবং বন্দরের ভেতর কনটেইনার রাখার স্থান বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //