২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৮ শতাংশ: এডিবি

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আশু পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে এবং ২০২১ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬.৮ শতাংশ আশা করা হচ্ছে। 

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির ‘এশীয় ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) ২০২০ আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এডিবি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুদৃঢ় উত্পাদন ও রফতানির গন্তব্য বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছে। চলতি অর্থবছরের মুদ্রাস্ফীতি ৫.৫ শতাংশ ও চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির ১.১ শতাংশে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এডিবি বলেছে, দূরদর্শী সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিচালনা ও সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের তড়িৎ বাস্তবায়নের ফলে প্রত্যাশিত পুনরুদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করার সম্ভব হয়েছে। তবে বাংলাদেশ বা এর রফতানির গন্তব্যস্থলে কভিড-১৯ মহামারি আরো দীর্ঘায়িত হলে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে তা প্রধান ঝুঁকি হিসেবে দেখা দিতে পারে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, করোনা মহামারির কবল থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার শুরু করেছে। স্বাস্থ্য ও মহামারি মোকাবিলায় চাপ থাকা সত্ত্বেও সরকার গরিব ও দুস্থদের জন্য মৌলিক সেবা ও পণ্য নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাসহ অর্থনীতিকে সুসংহত করতে পেরেছে।

মহামারি সংকটকে সুযোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি রফতানি ও রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে সফলতা, সরকারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য বৈদেশিক তহবিল নিশ্চিত করা এ পুনরুদ্ধারকে সম্ভবপর করেছে।

ভ্যাকসিনের আসার পরপরই তা পাওয়া ও মহামরি মোকাবিলায় অব্যাহত প্রচেষ্টা এ পুনরুদ্ধারের চলমান ধারাকে বজায় রাখবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করছি রফতানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পুনরুদ্ধরের এ ধারা অব্যাহত রাখবে। যা দেশের প্রত্যাশিত জিডিপি বৃদ্ধির হার অর্জনে সহায়তা করবে।

কভিড-১৯ মহামারিতে আর্থ-সামাজিক প্রভাব মোকাবিলা ও অর্থনীতির দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য এডিবি এরই মধ্যে বাংলাদেশকে ঋণ হিসেবে ৬০০ মিলিয়ন ডলার ও ৪.৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। -ইউএনবি