আইন সংশোধনে শ্রমিক স্বার্থ কতটুকু

‘শ্রম অধিকার বলতে আমার কাজের ন্যায্য পারিশ্রমিক পাওয়াকেই বুঝি। এই স্বার্থে নানা সময় আইন সংশোধন হলেও সেটি আমি পাই না। পোশাক কারখানায় অপারেটরের কাজ করে মাসে বেতন পাই সাত হাজার টাকা। ওভারটাইম নিয়ে সেটা হাজার দশেকের মতো হয়; কিন্তু এই টাকায় কী আর সংসার চলে? বর্তমান বাজারে ঘরভাড়া পরিশোধেই চলে যায় বেতনের বেশিরভাগ অংশ। বাকি টাকা দিয়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরের চাল কিনে সংসার চালানো যে কত কঠিন, তা বলে বোঝানো যাবে না।’ 

নিজেদের অধিকার সম্পর্কে জানতে চাইলে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর রামপুরার একটি কারখানার পোশাক শ্রমিক পলি আক্তার। 

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, ‘এ দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জীবনে মজুরি বৈষম্যসহ নানা ধরনের বঞ্চনা, দুর্দশার গল্প। তবে নারী শ্রমিকের বৈষম্য ও বঞ্চনা অপেক্ষাকৃত বেশি। মজুরি বৈষম্য ছাড়াও তারা কারখানার ভেতরে ও বাইরে নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। আবার অধিকাংশ নারী শ্রমিকই নিয়োগপত্র পান না, ফলে মাতৃত্বকালীন ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। তবে এদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে না পারলে ভবিষ্যতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেই।’ 

মজুরির বিষয়ে তার অভিযোগ, ‘পোশাক শ্রমিকরা এখন যে বেতন পায়, তা দিয়ে তারা ও সন্তানরা পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে না। পাশাপাশি ৪০ থেকে ৪৫ বছর বয়স্ক পোশাক শ্রমিকের পক্ষে আর কাজ করার শক্তি থাকে না। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই আমরা একজন শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে আসছি। তাতে কিছু হলেও সমস্যাগুলো লাঘব হবে।’

দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার-নির্যাতন, শ্রমিকের ওপর মালিকের শোষণের ইতিহাস নতুন কিছু নয়। আবার শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামেরও রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বপ্রথম ব্রিটেনে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক ও অধিকার সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন হয় ১৮৮০ সালে। 

বাংলাদেশেও রয়েছে শ্রম আইন। সময়ের দাবি ও স্বার্থের বেড়াজালে যা পরিবর্তনও হয়েছে বারবার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য সুবিধা ধরে রাখতে আবারো শ্রম আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যেখানে ১৩ সদস্যের একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে শ্রম আইনের ৫০টি ধারা পরিবর্তন করা হয়। রানা প্লাজার ধস ও তাজরীন ফ্যাশন অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের পর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানান চাপে ২০১৩ সালে শ্রম আইনের ৮৭টি ধারা-উপধারা সংশোধন করা হয়। সেগুলোর প্রায় সবগুলোতেই শ্রমিকদের দাবিকে উপেক্ষা করে মালিকদের স্বার্থ রক্ষার অভিযোগ। পরিশেষে ২০১৫ সালে করা হয় শ্রমবিধিমালা, যেটি শ্রমিক নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবেই পরিচিত শ্রমিক নেতাদের কাছে। 

ইইউর চাপ

এভরিথিং বাট আর্মসের (ইবিএ) আওতায় বাংলাদেশকে দেয়া বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে শ্রমিক অধিকারের পাশাপাশি এবারই প্রথম বাক স্বাধীনতাসহ সার্বিক মানবাধিকার নিশ্চিতের শর্তজুড়ে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। 

সরকারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তারা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের পর বাংলাদেশের ইবিএ সুবিধা বহাল থাকবে কি-না, তা নির্ভর করবে শ্রমিক অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষার ওপর। গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাত থেকে দেশ আয় করেছে দুই হাজার ৭৯৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে ইবিএর আওতায় ইউরোপের বাজারে রফতানি হয় এক হাজার ৭১৪ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ পোশাক খাতে রফতানির ৬১.৩৫ শতাংশই এসেছে ইবিএর দেয়া বাণিজ্য সুবিধায়। 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতি ১০ বছর পর পর ইবিএ কর্মসূচি পর্যালোচনা করে থাকে। চলতি মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৩ সালে। তাই পরবর্তী স্কিম নিয়ে ইইউ এখনই কাজ শুরু করেছে। 

স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে শুধু অস্ত্র বাদে সব পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। বাংলাদেশ যদি ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশেও উন্নীত হয়, তাতেও ২০২৭ সাল পর্যন্ত এ সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের মধ্যে গত ২০ অক্টোবর একটি ভার্চুয়াল সভা হয়। শ্রম অধিকারের রূপকল্প নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। তবে এর সপ্তাহখানেক পর ২৯ অক্টোবরে স্বাক্ষর করা ঢাকার ইইউ দূতাবাস থেকে আসা এক চিঠি সরকারের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে। 

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, শ্রম সচিব কে এম আবদুস সালাম ও বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দিনকে দেয়া ওই চিঠিতে জিএসপি সুবিধার নতুন শর্তের মধ্যে মানবাধিকারের বিষয়টি জুড়ে দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের মান পুরোপুরি মিললেই কেবল বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। 

সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বিষয়টি তেমন গুরুতর নয় বলে জানালেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবারই প্রথম মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশের পরিকল্পনা চেয়েছে। এর আগে কখনোই তারা আমাদের দেশের ক্ষেত্রে বাণিজ্য সুবিধার সঙ্গে মানবাধিকারের ইস্যুটি যুক্ত করেনি।’

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর যুক্তরাষ্ট্রেও বাংলাদেশি পণ্যের অবাধ বাজার সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করেছিল ওবামা প্রশাসন। তখন বলা হয়েছিল, কাজের পরিবেশ উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।  জিএসপি বাতিলের পর অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স ও ন্যাশনাল ট্রাইপার্টিড প্ল্যান অব অ্যাকশনের আওতায় শুরু হয় তৈরি পোশাক শিল্পে নানা সংস্কার; কিন্তু এতকিছুর পরও সেই স্থগিতাদেশ এখনো বহাল রয়েছে। বিভিন্ন সময় আশ্বাসের বাণী শোনালেও সেটি তুলে নেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন।

কোন পথে

ইইউর ৯ দফা অ্যাকশন প্ল্যানে ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম সম্পূর্ণ বাদ দেয়া, শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন ও সিবিএ করার সহজ সুযোগ দেয়া, এক কারখানার শ্রমিকদের অন্য কারখানার ট্রেড ইউনিয়নে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়া, শ্রম আদালতের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির মতো শর্ত রয়েছে। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইউরোপের বাজারে জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখতে ইইউর দেওয়া পরামর্শের সঙ্গে সংগতি রেখে এবার শ্রম আইন সংশোধন করা হবে। সে জন্য এরই মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের দু’জন সদস্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজেএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধি ও একজন শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। শ্রম অধিদফতর,  কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারাও থাকছেন এই কমিটিতে। ওই কমিটি আইন সংশোধনের খসড়া আগামী মার্চ মাসের মধ্যে শ্রম সচিবের কাছে হস্তান্তর করবে।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) অন্যতম শীর্ষ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন সরকারের গঠিত ত্রিপক্ষীয় কমিটির একজন সদস্য। আইন সংশোধনের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এর আগেও ২০১৩ ও ২০১৮ সালে আমাদের শ্রম আইনে সংশোধনী আনা হয়েছিল। তারপরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এ বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ রেখেছে। পাশাপাশি আমরা শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও বলেছি যে, এই শ্রম আইন এখনো আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮-এর আলোকে হয়নি। তাই এর একটি গণতান্ত্রিক সংশোধনী দরকার। যে ধারাগুলো অগণতান্ত্রিক ও শ্রমিক স্বার্থবিরোধী, সেগুলোকে পাল্টানো প্রয়োজন।’ 

চিঠির মাধ্যমে ইইউর চাপ প্রসঙ্গে এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘ইইউ সব সময়ই মানবাধিকার ইস্যুটি দেখতে চায়; কিন্তু আমরা মানবাধিকারের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই- আইনটা গণতান্ত্রিক হচ্ছে কি-না, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে কি-না, আবার ট্রেড ইউনিয়ন করতে গিয়ে শ্রমিকরা কোনো শাস্তি ও ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে কি-না এসবের ওপর। সেই সাথে কাজের পরিবেশ, মজুরি নির্ধারণের মাপকাঠিগুলো ও শ্রমঘণ্টা যথাযথ আছে কি-না, সে বিষয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ ও দাবি। এখানে ইইউর সঙ্গে আমাদের অনেককিছুই মিলবে না। ওরা যে স্ট্যান্ডার্ডে দেখতে চায়, আর আমাদের স্ট্যান্ডার্ড এক নয়। আমরা শ্রমিক সংগঠনগুলো আসলে আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয়নের একটি গণতান্ত্রিক ধারা নিশ্চিত করতে চাই।’ 

জুজুর ভয়

গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠক বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেন, ‘সব সরকারের আমলেই উন্নয়নের কথা, অধিকার বাস্তবায়নের কথা শুনছি; কিন্তু শ্রমিকদের আইনানুগ অধিকার, সামাজিক অধিকার সবকিছু ক্রমান্বয়ে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক শ্রেণির সঙ্গে সব সরকারই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। শ্রমনীতি অনুসারে, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে উৎপাদনশীল, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে শ্রম আইনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও সংশোধনের কথা বলা থাকলেও করা হচ্ছে তার উল্টোটা।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে শ্রমিকদের ডেকে এনে কাজ করানো হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাজ করার জন্য যেখানে শ্রমিকদের আরো বেশি সহায়তা দেয়া দরকার, সেখানে তাদের ঘাড়ে পাড়া দিয়ে নিজেদের লাভটাই তুলে নিচ্ছে মালিকপক্ষ। এর মধ্যে আবার করোনাকালে শ্রমিকদের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দিতে আইন সংশোধনের চেষ্টা চলছে।’ 

রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘মালিকদের পক্ষে যায়, শ্রম আইনের এমন কিছু ধারা ভারত পরিবর্তন করছে। যদিও আমাদের দেশে সেটি অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। প্রায়ই মিথ্যা অজুহাতে শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা বাড়িয়ে দিয়ে তাদের শেষ রক্তবিন্দুটুকু নিংড়ে নেয়ার মতলব আঁটা হয়। শ্রমঘণ্টা বাড়ানো, বোনাস কমানো ও ঝুঁকি ভাতা না দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো তারা করিয়ে নিচ্ছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘শিপমেন্টের অজুহাতে বাড়তি কোনো মজুরি ছাড়াই ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করিয়ে নিচ্ছেন তারা। মালিকরা বলছেন- অর্ডার পাচ্ছি না। নতুন কাজ নেই। দ্রুত কাজগুলো না সারলে পরবর্তী সময়ে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। সব ক্ষেত্রেই একটি জুজুর ভয় যে, আমাদের মার্কেট শেষ হয়ে যাবে, কারখানাই টিকবে না। এভাবে একটা কল্পিত ভয়ে ও কল্পিত আতঙ্কে শ্রমিকদের আতঙ্কিত করে তাদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করিয়ে নেয়া হয়।’

মঙ্গল কার?

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক লেবার সম্মেলনে মানবাধিকারসহ যে ইস্যুগুলো আলোচিত হয়েছে ইইউ সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে; কিন্তু বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে মানবাধিকার ইস্যুর কথা তারা কখনো তোলেনি এর আগে। তবে যেহেতু বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে, তাই মানবাধিকার ইস্যুগুলো ধীরে ধীরে সামনে আসছে। আমরা আশা করি, জিএসপি সুবিধা চলমান রাখার জন্য সরকার নিশ্চয়ই মানবাধিকার ইস্যুটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।’

অবশ্য বাণিজ্য সুবিধার সাথে ইইউ প্রথমবারের মতো মানবাধিকার ইস্যুকে যুক্ত করার পেছনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন কিছু এনজিও ও সাংবাদিকদের দায়ী করেছেন। 

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে ১৯৩টি দেশ আছে। সব দেশেই কিছু আকাম-কুকাম হচ্ছে; কিন্তু ওইসব দেশ নিয়ে কেউ কথা বলে না। এর কারণ হলো ওইসব দেশের মানুষ এগুলো নিয়ে এত ব্যস্ত থাকে না। আমাদের দেশের কিছু সাংবাদিক ও এনজিও সারাক্ষণ এসব নিয়ে মাথা ঘামায়। মাথা ঘামায়, কারণ তারা এ জন্য বিদেশ থেকে অর্থ পায়। এসব নিয়ে তারা বিদেশিদের কাছে বারবার ধর্না দেয়, তাদের ত্যক্ত করে। এ কারণেই বিদেশিরা এসব নিয়ে কথা বলে। আমরা যত কম লাফালাফি করব, ততই মঙ্গল।’

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //