এবার উইকম ও থলেডটকমের ৬ জন গ্রেফতার

এবার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উইকমডটকম ও থলেডটকমের ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সাশ্রয়ী দামে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল ও ইলেট্রনিক পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সরকারি অনুমোদনহীন ও লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান দুইটির ছয়জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এক ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। 

আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) সকালে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন।

তিনি বলেন, ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট থানায় খায়রুল আলম মীর নামে এক ব্যক্তি থলে ডটকম ও উইকমডটকমের বিরুদ্ধ মামলা করেছেন। ওই মামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন— প্রতিষ্ঠান দুটির হেড অব অপারেশনস নজরুল ইসলাম, হিসাব রক্ষক সোহেল হোসেন, ডিজিটাল কমিউনিকেশন অফিসার তারেক মাহমুদ অনিক, সেলস এক্সিকিউটিভ মুন্না পারভেজ ও সুপার ভাইজার মাসুম হাসান।

সিআইডি জানায়, বিজ্ঞাপনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরহরাহ করার শর্তে টাকা পরিশোধ করে ভুক্তভোগীরা। কিন্তু টাকা পরিশোধের পর নির্ধারিত সময়ে পণ্য দেয়নি ‘থলেডটকম’ ও ‘উইকমডটকম’।

ইমাম হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠান দুটি কম দামে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, ইলেক্ট্রিক ফ্যান বিক্রির বিজ্ঞাপন ফেসবুক ও অনলাইনের প্রচার করে। বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে মানুষ তাদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয়ের জন্য আগ্রহ দেখায়। তারা অর্ডার দেয়ার একমাসের মধ্যে পণ্য দেবেন বলে ক্রেতাদের আশ্বাস দেন। তবে অনেকেই টাকা দিয়ে ৩০ দিন ও ৫০ দিনের মধ্যেও পণ্য পাননি। মাসের পর মাস তাদের ঘোরানো হয়। 

তিনি বলেন, এরপর কয়েকজন ক্রেতা মিলে তাদের অফিসে গেলে তারা তাদের কয়েকটি চেক দেন, তবে ক্রেতারা ব্যাংকে গিয়ে দেখেন ওই অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নেই। এরপর ভুক্তোভোগীরা মামলা করেন। প্রতিষ্ঠান দুটি আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ভুক্তোভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

‘থলেডটকম’ ও ‘উইকমডটকম’র অফিস তল্লাশি করে অফিস ভাড়ার চুক্তিপত্র, গন্তব্য লজিস্টিকস সার্ভিস লিমিটেড এজেন্ট সংক্রান্ত চুক্তিপত্র, জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত EVENT MANAGEMENT AGREEMENT সংক্রান্ত চুক্তিপত্রসহ বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, গ্রাহকদের কাছ থেকে চেক রিসিভ ইনফরমেশন CPU, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ফটোকপি মেশিন, রেজিস্টার দুটি ও টাকা গণনার মেশিন জব্দ করা হয়।

বিতর্কিত ই-কমার্সের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসঙ্গে সারাদেশে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্চ, এসপিসি, রিংআইডিসহ বেশকয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষকর্তাদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ও পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //