পণ্য রফতানির আড়ালে সাড়ে ৬ কোটি টাকা পাচারের চেষ্টা

বিদেশে পোশাক পণ্য রফতানির নামে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা ভণ্ডুল করে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। 

রাজধানী ঢাকার উত্তরার আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ নামে এক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সমুদ্রপথে পণ্যগুলো ফিলিপাইন রফতানির চেষ্টা করছিল।

গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) চালানটি আটক করে কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে কায়িক পরীক্ষা শেষে রাতে এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেড নামে বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনারে পণ্য লোড করা হয় পাচারের উদ্দেশে। তাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের ১৬৮ সদরঘাটের বেঙ্গল প্রগ্রেসিভ এন্টারপ্রাইজ।গত তিন মাসের ব্যবধানে ঢাকার এই প্রতিষ্ঠানটি ১১৩টি পণ্য চালান রফতানির বিপরীতে কত টাকা বিদেশে পাচার করেছে তার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

কায়িক পরীক্ষা শেষে দেখা গেছে, চারটি পণ্য চালানের বিপরীতে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানটি আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করেন। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ২৪ হাজার ৩৪৪ পিসের বিপরীতে ২৯ হাজার ৯৪৪ ইউরো বা ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ টাকা প্রাপ্তি হতো। তবে সঠিক ঘোষণা থাকলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৫২ টাকা প্রাপ্তি হতো। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি চার ধরনের পণ্য রফতানির আড়ালে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা করে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার উত্তরা এলাকার রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠানটির পণ্য ফিলিপাইনে রফতানির উদ্দেশ্যে কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেডের ডিপোতে কনটেইনারে লোড করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে গত ১১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির চার ধরনের পণ্য চালান আটক করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়।

কাস্টমসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিয়া বলেন, রফতানি ঘোষণা অনুযায়ী ওই চারটি চালানে ২৪ হাজার ৩৪৪ পিস পোশাক থাকার কথা। কিন্তু শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে সেখানে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩২২ পিস পোশাক পাওয়া যায়। এর মধ্য দিয়ে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ কর্মকর্তার মতে, রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১৩টি পণ্যচালান রফতানি করে। এসব চালানে ঘোষণাতিরিক্ত পণ্য রফতানির মাধ্যমে অর্থপাচার হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। -ইউএনবি


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //