আগামী ২৫ রোজার মধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে যেসব গার্মেন্টস কারখানায় বেতন বকেয়া রয়েছে সেগুলোও এই সময়ের মধ্যে প্রদানের দাবি করা হয়েছে। ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী শ্রমিক সংঘের বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।
গতকাল শনিবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রমিক সংঘের সভাপতি আহম্মেদ সুজনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি প্রকাশ দত্ত, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন নয়ন, ঢাকা মহানগর পাদুকা শিল্প শ্রমিক সংঘের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন আহম্মেদ খান, ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা চালক শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফ প্রমুখ।
সমাবেশটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম মানিক। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান বাজারদর ও শ্রমিকের মজুরি আকাশ পাতাল পার্থক্য। এমতাবস্থায় সব সেক্টরে বাজারদরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা না হলে প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা আন্দোলনে পথে নামতে বাধ্য হবে। তদুপরি লোকাল শ্রমিকদের মজুরিও ঠিকমতো পরিশোধ করা হয় না। অধিকাংশ লোকাল গার্মেন্টস শ্রমিকদের ৭-৮ মাসের মজুরি বকেয়া রয়েছে। নেতৃবৃন্দ লোকাল গার্মেন্টসের শ্রমিকদের সব বকেয়া পাওনা ও ঈদ বোনাস ২৫ রমজানের মধ্যে প্রদানের জন্য মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক দোকান কর্মচারীদের জীবন-জীবিকা রক্ষায় ঈদের আগে তাদের মজুরি ও বোনাস প্রদানে, মালিক, সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মালিক ব্যবসায়ী দোকান কর্মচারী শ্রমিকদের রক্ষায় পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে মিডিয়া, ব্যবসায়ী, মালিক, দোকান কর্মচারী, শ্রমিক জনমনে সৃষ্ট নানা প্রশ্নের মীমাংসা করতে হবে। তা না হলে সরকারের ঘাড়েই এর দায় চাপবে। সবশেষে সভাপতি মজুরি ও বোনাস ছাড়া বাড়ি না ফিরতে এবং দাবি আদায় ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের পথে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : বাণিজ্য পোশাকশ্রমিক বেতন বোনাস বিক্ষোভ
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh