ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তারা বলেছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা মূল্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পাইকারি মূল্য ইউনিটপ্রতি এক টাকা বাড়ানো হলে বছরে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি কমে আসবে।
জাতীয় সংসদ ভবনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) উত্থাপিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ও এলসি খোলার জটিলতায় জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধে দেরি হচ্ছে। এতে বাড়ছে বকেয়ার পরিমাণ। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল আমদানি বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎখাতে গ্যাসের স্বল্পতা, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও কয়লার মূল্যবৃদ্ধি এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায়, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ক্রয়-বিক্রয়ের পার্থক্য বাবদ চলতি অর্থবছরে ৩৫ থেকে ৩৭ হাজার কোটি টাকা সম্ভাব্য ভর্তুকি বাবদ প্রয়োজন হবে।
তবে গ্যাস উত্তোলন দিনে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়লে ঘাটতি ছয় হাজার কোটি টাকা কমতে পারে।
বর্তমানে ডলার সরবরাহ সংকোচনের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পরিচালনার জন্য জ্বালানি আমদানির লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলায় বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফুয়েল সাপ্লাই চেইন যথাযথভাবে মেইনটেন না হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে কোনো কোনো সময় জ্বালানি স্বল্পতার কারণে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সংকট নিরসনে পর্যায়ক্রমে পাইকারি ও খুচরা বিদ্যুতের বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh