বন্ডে কেন বিনিয়োগ, কতটা নিরাপদ

ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান যে কেউই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে। আর্থিক খাতে বিনিয়োগের জন্য এটি একটি অন্যতম উপায়। কারণ ব্যাংকে আমানত রাখলে  যে সুদ পাওয়া যায়, বন্ডের মুনাফা বা সুদ তার চেয়ে বেশি। এ কারণে বন্ড বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় পণ্য।

কোথা থেকে কীভাবে বন্ড কিনবেন? বন্ডে বিনিয়োগ কতটা লাভজনক?  

সাধারণত বন্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান বা বন্ডের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বন্ড কেনাবেচা করতে হয়।

শেয়ার ও বন্ডের পার্থক্য

শেয়ার হচ্ছে কোম্পানির মালিকানার অংশ। আপনি কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনছেন মানে ওই কোম্পানির মালিকানার অংশীদার হচ্ছেন। কোম্পানি লাভ করলে সেই ক্ষেত্রে বছর শেষে ঘোষিত লভ্যাংশের বিপরীতে শেয়ারের আনুপাতিক হারে মুনাফা বা লভ্যাংশ পাবেন। 

আর বন্ড হচ্ছে ঋণ পণ্য। বন্ডে বিনিয়োগের সঙ্গে মালিকানা অর্জনের কোনো বিষয় নেই। এ ক্ষেত্রে একটি নির্ধারিত সুদ বা মুনাফার নিশ্চয়তা থাকে।

কত ধরনের বন্ড 

সরকার থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যায়ের কোম্পানি যে কেউ বাজারে বন্ড ইস্যু বা ছাড়তে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণত ট্রেজারি বন্ড ছেড়ে মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। 

সাধারণভাবে আমাদের দেশে বন্ড দুইভাবে পরিচিত-প্রথমটি ট্রেজারি বন্ড, দ্বিতীয়টি করপোরেট বন্ড। করপোরেট বন্ডের মধ্যে আবার দুটি ভাগ আছে। এর একটি ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক বন্ড, বর্তমানে যা দেশে সুকুক বন্ড হিসেবে পরিচিত।

আর অন্যটি প্রচলিত বা কনভেনশনাল বন্ড। কনভেনশনাল বন্ড আবার কয়েক ধরনের। তার মধ্যে রয়েছে পারপিচুয়াল বন্ড ও জিরো কুপন বন্ড।

কারা কিনতে পারে

সাধারণত সব বন্ড সবাই কিনতে পারে না। বন্ড ইস্যুর আগেই ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি নিজেরাই ঠিক করে নেয় কাদের কাছে তারা এ বন্ড বিক্রি করবে। 

সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে বন্ডের অনুমোদন নেওয়া হয়। 

আর যেসব বন্ড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়, সেগুলো শেয়ারবাজার থেকে যখন খুশি তখন কেনাবেচা করা যায়।

ট্রেজারি বন্ড জনপ্রিয় কেন

ব্যাংক বা পুঁজিবাজার থেকে ট্রেজারি বন্ড কেনা যায়। তবে সব ব্যাংক ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করে না। শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়োজিত ডিলার ব্যাংকই ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করে। 

যে ব্যাংক ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করে, সেই ব্যাংকে হিসাব খুলে এ বন্ড কেনা যাবে। আর শেয়ারবাজারের মাধ্যমে বন্ড কেনার ক্ষেত্রে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাব থাকতে হবে।

সাধারণত ট্রেজারি বন্ড বিভিন্ন মেয়াদি হয়ে থাকে। যেমন ২ বছর, ৫ বছর, ১০ বছর, ১৫ বছর ও ২০ বছর মেয়াদি। সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বন্ড ইস্যু করে। তাই বেসরকারি কোম্পানির বন্ডের চেয়ে এ বন্ডে বিনিয়োগকে অনেকটা নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //