ফের বাড়লো মূল্যস্ফীতি

ফের মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বিদায়ী জানুয়ারিতে তা বেড়ে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে উঠেছে। গত অক্টোবরের পর যা সর্বোচ্চ। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিবিএস জানায়, গত অক্টোবরে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিলো ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর পর নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তা কমেছিলো। তবে জানুয়ারিতে আবার বেড়ে গেলো। শহর ও গ্রাম-উভয় ক্ষেত্রেই যা বৃদ্ধি পেলো। গত জানুয়ারিতে গ্রামে মূল্যস্ফীতি ছিলো ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। শহরে তা ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এর মানে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির বেশি ছিলো। 

বিবিএসের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। তবে খাদ্যবহির্ভূত বেশ বেড়েছে। গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে। ডিসেম্বরে যা ছিলো ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। ডিসেম্বরে তা ছিলো ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।

উল্লেখ্য, মূল্যস্ফীতি হলো একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপায়। জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বেড়েছে। আলোচ্য মাসে পণ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতিতে এ ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে।

সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। সেই লক্ষ্যে গত ১৭ জানুয়ারি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণের সুদহার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবু মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বগামী হলো।