বন্যার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সেজন্য খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, জনগণের জন্য কাজ করলে কৃষি মন্ত্রণালয়ে কাজ করতে হবে। আবাদি জমি রক্ষা করতে হবে। এতে উৎপাদন বাড়বে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে বরিশাল নগরীর বাগুড়া রোড খামার বাড়ির সভা কক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, একটা সময় ছিল যখন বরিশালকে বলা হতো শস্যভাণ্ডার। বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি ও আমন ধানের জন্য এই অঞ্চলের খ্যাতি ছিল। বরিশালকে ফের শস্য ভাণ্ডারে রূপান্তর করতে চান। আমরা এই বিভাগের সেই সুনাম ফিরিয়ে আনতে চাই।
কৃষি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, শুধু প্রজেক্ট নিয়ে থাকলে হবে না। গাড়ি নয়, চাইতে হবে সার ও বীজ। উৎপাদন বাড়াতে কোনো জমি খালি রাখা যাবে না। যে ফসলের উৎপাদন ভালো হয় সেটাই করতে হবে। এসি রুমে বসে বিলাসিতা করলে ফসল উৎপাদন হবে না, মাঠে যেতে হবে।
এসময় বরিশাল কৃষি অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলেধরেন মতবিনিময় সভায় উপস্থিতকৃষি কর্মকর্তারা। উপদেষ্টাকে তারা জানান, খরা, লবণাক্ততা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক বছরে খাদ্য উৎপাদনে আগের ঐতিহ্য নেই।
বরিশাল জেলায় ৮ লাখ হেক্টরের অধিক জমিতে চাষাবাদ হয়। এর মধ্যে এক ফসলি, দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমি রয়েছে। সব জমি পরিপূর্ণ চাষাবাদ উপযোগী করতে হলে খালগুলো পুনঃখনন করতে হবে। আলু ও ডাল জাতীয় বীজের স্বল্পতা রয়েছে। বীজের গুণগত মান রক্ষা করে সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে।
কৃষি কর্মকর্তারা আরও জানান, পটুয়াখালীতে জোয়ারের পানির কারণে জমিতে লবণাক্ততা দেখা দিয়েছে। অনেক জমি রয়েছে আবাদযোগ্য নয়। নদীর পাশে বেড়িবাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মাণ করে আবাদযোগ্য করার প্রস্তাব করেন তারা।
মতবিনিময় সভায় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh