কোটা আন্দোলনে ঢাবির বিভিন্ন হলে প্রায় ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১৬:৩৭
হল পরিদর্শনে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
সম্প্রতি কোটা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন হলে প্রায় ৩০০ কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শিগগিরই ভাঙচুর করা এসব কক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছ থেকে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে সংস্কার শেষে হল খোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল এবং স্যার এ এফ রহমান হল পরিদর্শন শেষে হল দুটি পরিদর্শন শেষে ঢাবি উপাচার্য এ কথা জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে প্রায় ৩০০টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হলসমূহের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছ থেকে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে হলসমূহ সংস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান এবং সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বুধবার (১৭ জুলাই) রাত তখন ১২টা অভিযোগ ওঠে রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসাইনসহ ৯ ছাত্রলীগ নেত্রী হলের কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করছে। পরে তাকে হল ছাড়া করে, এরপর ওই রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে বেছে বেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কক্ষ ভাঙচুর এবং হল ছাড়ার ঘটনা ঘটে।
এরপর ওইদিন সিন্ডিকেটের এক জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্তের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এছাড়া হলে অবস্থানরত সকল শিক্ষার্থী সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পরপরই পুরোপুরিভাবে হল ছাড়তে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।