ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন কমিশন নিয়ে মতবিভেদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গঠনতন্ত্র অমান্য করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এতে ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম আব্দুস সোবহান নির্বাচন কমিশনার। ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক বখতিয়ার হাসান ও ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককে সহকারী নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে।

সূত্র মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র ৭ এর ২এর (ক) ধারা অনুযায়ী যদি কোন কারণে বিশ্ববদ্যিালয় বন্ধ থাকে তবে ক্যাম্পাস খোলার ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। করোনা মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে ক্যাম্পাসের অফিস কার্যক্রম চালু রয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারিতে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা অবস্থায় কেন নির্বাচনের আয়োজন করা হবে এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের মধ্যে মতবিভেদ সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন উপলক্ষে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় করোনা মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পরে ১৩ ডিসেম্বর পুনরায় সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ভিন্নমত পরিলক্ষিত হয়। সভায় জিয়া পরিষদ ও গ্রিন ফোরামের সদস্যরা নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সকল শিক্ষকদের নিয়ে সাধারণ সভা করার প্রস্তাব দেন। সমিতি এসব মতামতের তোয়াক্কা না করে সাধারণ সভা ছাড়াই নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে মতামত দেন।

ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন জানিয়েছেন, অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে শিক্ষক সমিতি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তা হঠকারী সিদ্ধান্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিধিত্বকারী শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে গ্রহণযোগ্য একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত ছিলো। এমন ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এগুলো গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ। কোনো সচেতন মানুষ এটা গ্রহণ করবে না। তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা পুনর্বিবেচনা করা উচিত।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন বলেন, নিয়ম-কানুন তো মানুষের বানানো তাই না? লঙ্ঘন যদি একটু হতেও হয় সেটা করোনার অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //