চবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ন্যায় বিচার, ভিসির অপসারণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ, হলগুলোতে আবাসন সমস্যার সমাধান ও মানসম্মত খাবার পরিবেশনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক নেটওয়ার্কের একাংশ।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় তারা শাবিপ্রবি ভিসির আচরণের ওপর তীব্র নিন্দা জানান। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি প্রতি তাদের সমর্থন জানান। এই পরিস্থিতির সমাধান আহ্বান করেন তারা। ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সমর্থন করেন।

কর্মসূচিতে সমাজতত্ব বিভাগের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম বলেন স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন একটি অরাজকতা চলছে, এমন পেশি শক্তি যেখানে আমরা দেখি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদাধিকার যারা তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্সমতায় টিকে থাকতে চান। তারা ব্রিটিশদের দেখানো পথ ডিভাইডেড এন্ড পলিসি রুল অবলম্বন করে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতি মুহূর্তে খণ্ডিত করছেন। আমরা যখন দেখি এই অধিকারগুলো ভূলুণ্ঠিত হয়, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়, মামলা দেয়া হয়, যখন দেখি এই কাজগুলোর সাথে জড়িতরা পুরস্কৃত হন তখন আমাদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আমরা এই অরাজকতা পরিবেশের মুক্তি দাবি করি। শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগই এই আন্দোলন থামানোর একটা নির্বিকল্প পথ হয়ে আছে। এছাড়া এই আন্দোলন থামানো যাবে না। এটা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেছে।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সূবর্ণা মজুমদার বলেন,আমি আমার নৈতিক অবস্থান থেকে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি।  শাবিপ্রবির উপাচার্যের বিরুদ্ধে এত আন্দোলন ও বিক্ষোভ হওয়ার পরও সে এখনো তার পদে অনড় আছেন। আমি শিক্ষার্থীদেরকে আহ্বান জানাব আপনাদের যা কিছু দরকার হয় আমাদের জানান। ফলে এই উপাচার্যকে তার গদি ছুড়ে ফেলে দিন। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি। আমি আমার নৈতিক অবস্থান থেকে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি।

শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তৌফিক ইমাম বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দমন পীড়নের নীতিতে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নির্দয় শিক্ষকের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। আমরা দেখছি শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীরা সাধারণ আন্দোলন করার পরে তাদের ওপর পুলিশ লেলিয়ে দেয়া হলো।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দলদাসে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একেকজন সামন্তপ্রভুর মত আচরণ করছেন। শাবিপ্রবির ভিসি স্যারকে বলতে চাই আপনি ইতিমধ্যেই শিক্ষার্থীদের অধিকর্তা হবার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আপনার স্থান কোথায় দেখে নেন। আমরা আন্দোলনরত সব শিক্ষার্থীদের পাশে আছি

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। তারাও শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //