ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: ৫ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্দেশিত তদন্ত কমিটির ডাকে মুখোমুখি হন ভুক্তভোগী ছাত্রী ও  অভিযুক্তরা।

আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় তদন্ত কমিটির আহবায়কের কক্ষে ভুক্তভোগীসহ ৫ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকাল ৪টায় তারা কক্ষ ত্যাগ করেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির গাড়িতে পৃথকভাবে তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভুক্তভোগী সাহসের সাথে গণমাধ্যমের সাথে কথা বললেও কোন প্রশ্নের জবাব দেননি অভিযুক্তরা।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, আমি অভিযুক্তদের চিনিয়ে দিয়েছি। তারা আমার হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছে। আমি বলেছি আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। প্রশাসন যা ব্যবস্থা নিবে তাই হবে। তাদের কান্না কান্না ভাব ছিল। আপনি তাদের দেখ ভয় পেয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন ভয় পায়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাকে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও তিনি মুখ খুলেননি। অভিযুক্ত তাবাসসুম বলেন, আমি যা বলার তদন্ত কমিটিকে বলে দিয়েছি। আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

এর আগে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলমের ডাকে বাবার সঙ্গে ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক. ড. শফিকুল ইসলাম ও জয়শ্রী সেন তাকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে ভুক্তভোগীকে হলে নিয়ে যান।

এসময় ভুক্তভোগী ছাত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, আমার শরীরের অবস্থা খুব ভালো নাই আবার খারাপও না। তদন্ত কমিটি তদন্ত করছে। আশা করি সুষ্ঠু বিচার হবে।

এদিকে, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন হাইকোর্টের নির্দেশনায় গঠিত তদন্ত কমিটি। এসময় তারা প্রক্টর অফিসে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদের সাথে সাক্ষাত করেন।

সাক্ষাত শেষে দুপুর ১টার দিকে তারা সেই হলে যান। সেখানে হল কমিটি ও হাইকোর্টের নির্দেশনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ভুক্তভোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকাল পৌনে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশিত তদন্ত কমিটির ডাকে তদন্ত কমিটির আহবায়কের কক্ষে যান।

ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, সেদিনের ঘটনার পর আজকেসহ চারবার আসলাম। প্রতিবার আসতে ও যেতে প্রায় চার ঘণ্টা করে আট ঘণ্টা সময় লাগে। এছাড়াও প্রতিবার ৫০০/৬০০ টাকা খরচ হয় যা আমার জন্য কষ্টকর। আমি তো আর প্রশাসনকে বলতে পারি না যে এখানে থাকবো। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে তাহলে ভালো হয়।

সহকারী প্রক্টর সাজ্জাদুর রহমান টিটু বলেন, আমরা ভুক্তভোগীকে নিরাপত্তা দিয়ে আলাউদ্দিন নগর পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছি। পরে তারা নিজের ব্যবস্থাপনায় বাসায় যান।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //