‘চোখের দেখা, প্রাণের কথায়, মিলনমেলায় তারা’

‘পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়/ও সে চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়।’ ফেলে আসা দিনের স্মৃতি সকলকেই মথিত করে তা কবিগুরু আগেই বুঝতে পেরেছিলেন বলে হয়তো স্মৃতির এ শ্লোক রচনা করেছিলেন।

কবিগুরুর এ গানের আবাহনে উদ্বেলিত হয়েই স্মৃতির সাগরে ডুবে, ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতিতে রোমন্থিত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরা। 

গতকাল শনিবার (১১ মার্চ) বিভাগটির প্রায় ৭০০ সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা স্মরণোৎসবে সামিল হয়েছেন। অতীতের ক্লান্তি মাখা দিনেও অক্লান্তি ঘেরা আড্ডা-গল্পের দিনের স্মৃতিতে মেতে ওঠেন তারা। কতদিন কত বছর পেরিয়ে গেছে দেখা হয়নি প্রাণপ্রিয় বন্ধুর সাথে। একে-অপরকে পাশে পেয়ে অতৃপ্ত আত্মার স্বাক্ষাতের মহলে ঢুকে পড়েন সবাই। একে অপরকে জড়িয়ে কেউ বা স্মৃতির পাতা উল্টিয়ে হাসছেন, কেউ বা আপ্লুত হয়ে কাঁদছেন।

দিনব্যাপী এ মিলনমেলার আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। দিনটি উপলক্ষে বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে থেকে বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের সামনে এসে শেষে হয়। মিলনায়তনে আলোচনা সভা, প্রাক্তনদের স্মৃতিচারণ ও বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো মাহবুবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গাজী মাহবুব মুর্শিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশীদ আসকারী, বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ।

মিলনমেলায় বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থীরা সাবেক বড় ভাইদের পেয়ে খুব আনন্দিত হয়ে ওঠেন। সাবেক বড় ভাইদের সাথে আড্ডা দেয়ার মতো দীর্ঘ সুযোগ পেলে হইতো স্মৃতির পর্দার ছায়াগুলো চোখের সামনে ভাসাতেন তারা।

এদিকে সাবেকদের কেউ বা স্মৃতি বিজড়িত ক্লাসরুমটি দেখতে দৌড়াচ্ছেন। কেউ বা আড্ডা দেয়ার স্থান ও আবাসিক কক্ষের স্মৃতির টানে যাচ্ছেন হলের পানে। কেউ বা খুঁজছেন সেই মামা-চাচাকে যার সাথে পথে চলতে সময়ে-অসময়ে হাসি-ঠাট্টা করা হতো।

অতীত দিনের স্মৃতি উন্মোচিত করে বিভাগের ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পর বন্ধুদের কাছে পেয়ে খুবই উচ্ছ্বাসিত। আজকে কত যে ভালো লাগছে তা বলে বুঝাতে পারবো না। আশা করছি ভবিষ্যতেও বড় পরিসরের এরকম পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করেত পারবো।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //