প্যারাসিটামলও নেই বশেমুরবিপ্রবির চিকিৎসা কেন্দ্রে

প্রায় দুই মাস ধরে প্যারাসিটামলসহ প্রয়োজনীয় কোন ওষুধ নেই গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) মেডিকেল সেন্টারে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার (২৭ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণ করতে এলেও চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে গিয়েছেন।

ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মিরাজ মল্লিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সবসময়ই কোনো না কোনো সংকট থাকে। কখনো চিকিৎসক থাকে না আবার কখনো ঔষধ থাকে না। গত মার্চে আমি এবং আমার এক সহপাঠী চিকিৎসা নিতে গিয়ে চিকিৎসকও পাইনি, ঔষধও পাইনি। গত সপ্তাহেও এক বন্ধু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে নিয়ে মেডিকেল সেন্টারে গিয়েছিলাম কিন্তু ঔষধ পাইনি।

এই শিক্ষার্থী আরো বলেন, চিকিৎসা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেকোনো সময় কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। মেডিকেল সেন্টারে সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক এবং প্রয়োজনীয় ঔষধের ব্যবস্থা রাখা উচিত।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ আহমেদ বলেন, পাঁচ বছরের শিক্ষা জীবনে মেডিকেল থেকে আমার কোনো সেবা নেওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারটি নিজেই অসুস্থ। তার চিকিৎসা প্রয়োজন।

ঔষধ না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে মেডিকেল অফিসার ডা. রোকাইয়া আলম বলেন, প্রায় দুই মাস যাবত নাপা, এন্টাসিডসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ নেই। আমরা প্লানিং দপ্তর, রেজিস্ট্রার দপ্তর এবং ভিসি দপ্তরে চাহিদাপত্র অনেক আগেই দিয়েছি কিন্তু এখনো ঔষধ পাইনি।

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, চিকিৎসা কেন্দ্রের জন্য যে পরিমাণ বাজেট প্রয়োজন আমাদের এখানে সে পরিমাণের বাজেট নেই। ওষুধের জন্য বর্তমানে কি পরিমাণ বাজেট আছে সেটা ২৮ তারিখে দেখে ওষুধ সরবরাহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, বশেমুরবিপ্রবিতে ১২ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে বর্তমানে মাত্র তিনজন চিকিৎসক রয়েছেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //