ঈদে হল খোলা থাকছে না নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে

গ্রীষ্মকালীন অবকাশ ও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট চারটি আবাসিক হল ১৭ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রভোস্ট কাউন্সিল।

গতকাল রবিবার (১৮ জুন) বিকেল থেকে এই বন্ধ শুরু হয়। প্রভোস্ট কাউন্সিলের অফিস আদেশে বলা হয়, এ দিন বিকেল ৪ টার মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগ করার জন্য।

নির্ধারিত সময়ের আগে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করে চলে যান। হল ত্যাগ করার শেষ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু হলের অবশিষ্ট ছাত্ররা জড়ো হয়ে বন্ধ কমানোর দাবি জানিয়ে অবস্থান নেন। ছাত্ররা জানায়, এর আগেও লিখিত ও মৌখিকভাবে হলের প্রভোস্টকে হল বন্ধের সময়সীমা কমাতে আবেদন জানানো হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, উপাচার্যের এমন কথার প্রেক্ষিতে ছাত্ররা এক পর্যায়ে উপাচার্যের সাথে বিতর্ক হয়। উপাচার্য বারবার হল ত্যাগের জন্য ছাত্রদের জানান।

অবস্থানরত এক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষার্থীরা হল বন্ধ হওয়ার নোটিশ দেওয়ার আগেই হল প্রভোস্টের কাছে আবেদন দেয় হল খোলা রাখার জন্য। এমনকি প্রভোস্ট আশ্বস্ত করেন যে উনি এই বিষয়ে ভিসি স্যারের সাথে কথা বলবেন এবং শিক্ষার্থীদের জানাবেন। কিন্তু পরবর্তীতে আর কোন কিছু না জানিয়ে হল বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার বলেন, হল খোলা রাখা মানে আমাদের সকল ছুটি বন্ধ হয়ে যাওয়া। এটা সবার জন্যই প্রযোজ্য। তাই আমাদের শিক্ষক সমাজের বা প্রশাসনে আমরা যারা আছি তাদের সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলো নজরে রেখে হলেও আমাদের একক সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং সেগুলোর বাস্তবায়নে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।।

এ বিষয়ে উপাচার্য গণমাধ্যমকে জানান, আমার ক্যাম্পাসের ৮ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০/২৫ জন শিক্ষার্থী আসছিল প্রশাসনিক ভবনে হল খোলা রাখার অযৌক্তিক দাবি নিয়ে। যাদের একটা অংশ হলে থাকেও না। ৫ মিনিটের দূরত্বে যাদের বাসা, কারা কারা এটাতে ছিল সেটাও আমি জানি। ক্যাম্পাস ও হল তার নিজস্ব নিয়ম এবং সিডিউল অনুযায়ী চলবে। একাডেমিক ক্যালেন্ডার দিয়ে দেওয়া হয়েছে বছরের শুরুতেই। হল বন্ধের ব্যাপারটা পূর্ব নির্ধারিত, উপাচার্য চাইলেও নিয়ম বহির্ভূত হয়ে তার বাইরে কিছু করতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের এ রকম অযৌক্তিক দাবি মানার কোনো সুযোগ নেই।

হল বন্ধ হবে ডরমিটরি খোলা কেন মোবাইল ফোনে ছাত্রদের চাওয়া এমন প্রশ্নের জবাবে গণমাধ্যমকে উপাচার্য আরো জানান, ডরমিটরির চাবি শিক্ষকদের দিয়ে দেওয়ার পর তার দায় আর কারোর নেই। একমাত্র সেই শিক্ষক বা কর্মকর্তার। সে চাইলে থাকবে, না থাকলে নেই। তার জবাবদিহিতা প্রশাসন দিবে না। কিন্তু হল খোলা থাকলে বা রাখলে তার প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জিনিসের জবাবদিহিতা প্রশাসনকে করতে হবে। দায় রেখে নিয়ম ভঙ্গ করে এত বড় ঝুঁকি প্রশাসন নিতে পারবে না।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //