গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাসসহ ৫ দফা দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সমাবেশ

সরকার পদত্যাগ কর, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দাও, সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ সকল নিবর্তনমূলক কালাকানুন বাতিল কর, শিক্ষা উপকরণসহ সকল নিত্য পণ্যের দাম কমাও, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত কর, অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দাও।

উক্ত পাঁচ দফা দাবিতে আজ রবিবার (১৫ অক্টোবর) দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হওয়া একটি মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তীতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ, দপ্তর সম্পাদক অনিক কুমার দাস, অর্থ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ।

সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার জগদ্দল পাথরের মতো জনগণের বুকের উপর চেপে বসে আছে। একবার ভোটারবিহীন আরেকবার ভোটচুরির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসীন হয়ে মানুষের নূন্যতম গণতান্ত্রিক অধিকারকেও অবশিষ্ট রাখেনি তারা। একের পর এক কালাকানুনের মধ্য দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে মানুষের গলা টিপে ধরার পাঁয়তারা অব্যাহত রেখেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রতিস্থাপিত হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন দ্বারা। লেখক মুশতাক, কার্টুনিস্ট কিশোর, সর্বশেষ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজা এই আইনের দ্বারা দমন-পীড়নের জলজ্যান্ত উদাহরণ।

বক্তারা বলেন, নির্যাতন-নিপীড়নের এই চিত্র প্রমাণ করে এইসব কালাকানুন  জনগণের নিরাপত্তার খাতিরে প্রণয়ন করা হয়নি বরং ভিন্নমত দমন করে সরকারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তেমনিভাবে প্রত্যেকটি ক্যাম্পাসে চলছে সন্ত্রাস দখলদারিত্বের মহোৎসব। গণরুম-গেস্টরুম নির্যাতন আজকে নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। নেই কোনো প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, অকার্যকর হয়ে আছে ছাত্র সংসদ। একই সাথে লাগামহীন ঘোড়ার মতো বৃদ্ধি পেতে থাকা দ্রব্যমূল্যের প্রভাবে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের জীবনে। সেই সাথে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে শিক্ষা উপকরণের দাম। ফলে লাখো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন আজকে হুমকির মুখে। সমস্ত শ্রেণি-পেশার মানুষ আজকে এই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাইছে।

 উল্লেখ্য, সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল, শিক্ষা উপকরণসহ সকল নিত্য পণ্যের দাম কমানো, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //