চবির পরীক্ষা রাবি কেন্দ্রে দিতে পেরে খুশি পরীক্ষার্থীরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে আজ। বিশ্ববিদ্যালয়টি এবছর ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছে পরীক্ষার্থীরা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলোও আঞ্চলিক কেন্দ্রে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এসময় পরীক্ষার্থীরা বলেন, নিজস্ব ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় আবাসন, খাদ্য ও যাতায়াতসহ নানান সমস্যা। আরো একটি সমস্যা শিফট ভিত্তিক পরীক্ষা পরবর্তী একক মেরিট লিস্টে ফলাফল নিয়ে। আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ায় এসব সংকটের নিরসন হবে বলে আশা করেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

গাইবান্ধা থেকে আসা সৌরভ সরকার জয়। তিনি এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতক (সম্মান) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে তিনি বলেন, গত বছরে আমি পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম চট্টগ্রামে। আমার প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল। যেখানে আমার প্রায় ১৪ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। এবছর আমি আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরীক্ষা দিলাম। তিন ঘণ্টার ভিতরেই নিজের এলাকা থেকে চলে আসছি। এইখানে আমার যেমন কমেছে ভোগান্তি; তেমনি আমার সময়গুলো কাজে লাগাতে পেরেছি।


কথা হলো আরেক পরীক্ষার্থী সানজানা সুলতানা তৃণার সাথে। তিনি এসেছেন গোপালগঞ্জ থেকে। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষার তারিখ ঠিক করার বেশ সমন্বয়হীনতার দেখা যায়। ফলে বিপদে পড়তে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। তবে এবছর খুবই ভালো হয়েছে আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরীক্ষা হওয়ায়। আমি চবি পরীক্ষার কেন্দ্র দিয়েছি রাজশাহীতে। একই সাথে দুইটা পরীক্ষা দিয়ে যেতে পারব। এতে অর্থ সাশ্রয় হবে পাশাপাশি ভোগান্তি অনেকটা কম হবে।

শিফট পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে ও বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা আঞ্চলিক কেন্দ্রের দাবি করে আব্দুল্লাহ আল সিয়াম বলেন, বিগত বছরগুলোতে চবির পরীক্ষা শিফট ভিত্তিক হয়েছে। এতে অনেকেই আশানুরূপ ফলাফল পায়নি। আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরীক্ষা হওয়ার কারণে ধারণ ক্ষমতা বেড়েছে। এবং এই শিফট ভিত্তিক পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। এতে আশা করছি ফলাফল নিয়ে কোন অভিযোগ থাকবে না। আমরা চাই বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা যেন এমন আঞ্চলিক কেন্দ্রে হয়।

রাবি এই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন দেশের উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২০ জেলার ১৭৭৯২ শিক্ষার্থী।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //