জাবিতে ৫ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের পাদদেশে এ মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে উপাচার্য বরাবর ৫ দফা দাবির লিখিত স্মারক দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো- নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের মাত্রা-অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শামীম মোল্লাকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের পরবর্তীতে নিরাপত্তা অফিসের তালা ভেঙে কয়েকদফা মারধর এবং পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ঘটনার গভীর তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। প্রধান নিরাপত্তাকর্মী সুদীপ্ত শাহীনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মীদের বহিষ্কার করতে হবে। হত্যা মামলার আসামি সুদীপ্ত শাহীনের দায়েরকৃত মামলার কোনো ভিত্তি থাকতে পারে না, অতিদ্রুত এই মামলা প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের নতুন মামলা দায়ের করতে হবে। জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া শিক্ষার্থীদের উপর নির্মম নির্যাতনের দ্রুত বিচার করতে হবে এবং জড়িত শিক্ষক, কর্মচারী, এবং শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম বলেন, আমরা লক্ষ্য করি শামীম মোল্লাকে কয়েক দফায় গণপিটুনি দেওয়া হয়। তারমধ্যে প্রথম দফায় প্রান্তিক গেইটে গণপিটুনি দিয়ে একদল তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে করে হস্তান্তর করে। এরপর অন্য একটি দল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রক্টর অফিসের নিরাপত্তা সেলের কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে তাকে কয়েক দফা বেধড়ক মারধর করেন। তাহলে কিভাবে সবার শাস্তি একই হয়। আমরা চাই অতিসত্বর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে মাত্রা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক।

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫১তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষার সাথে। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান দাবি হলো শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের প্রাপ্য শাস্তিটুকু যেন নিশ্চিত করা হয়।

এখানে লঘুদণ্ডে গুরু শাস্তি কেউ পাক সেটা আমরা চাই না। শামীম মোল্লাকে প্রক্টর অফিসে যখন মারা হয় তখন প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তার নিরাপত্তা কেন নিশ্চিত করতে পারেনি সেই প্রশ্ন আমাদের প্রশাসনের কাছে থেকে যায়। সুদীপ্ত শাহীন নিজে একজন হত্যা মামলার আসামি হয়ে কিভাবে হত্যা মামলা করে এবং স্ব-পদে বহাল থাকে এটিও প্রশাসনের কাছে আমাদের প্রশ্ন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh