ঢাবিতে ডামি নির্বাচন প্রদর্শনী ও ভোটদান প্রতিযোগিতা

গেল বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২২৪ আসনে জয়ী হয়েছে নৌকার প্রার্থীরা। ভূমিধস এ জয়ের মধ্যদিয়ে টানা চতুর্থ দফা সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের এমন এক চেটিয়া নির্বাচন ডামি নির্বাচন হিসেবে আখ্যা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ডামি নির্বাচন প্রদর্শনী ও ভোটদান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রতীকী হিসেবে একজন ভোটার একাধিক ভোট প্রদান করেন এবং ভোটদানের বিনিময়ে গ্রহণ করেন নমুনা টাকা।

আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ’ প্লাটফর্মের আয়োজনে ওই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ জনতা অংশ নেন।

আয়োজকরা জানান, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শেখ হাসিনা একটি ডামি নির্বাচনের আয়োজন করে। এতে বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো ভোট বর্জন করলেও নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। খুব কম সংখ্যক ভোট প্রদান হলেও নির্বাচন কমিশন জানায় প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ভোট প্রদান করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, আপনারা জানেন আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর যাবৎ সব ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। নির্বাচনের নামে তামাশা, নিজেরাই প্রধান দল আবার তারাই বিরোধী দল হিসেবে অংশ নিতো। যেখানে মৃত ব্যক্তি এসে ভোট প্রদান করেছিল। এজন্য  আজকে ডামি ভোট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখানে অনেকে প্রতীকী ভোট দিয়েছে আমরাও তাদের ডামি টাকার নোট দিয়েছি। এখানে অনেক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভাইয়েরাও ছিলেন যারা গতবার ভোট দিতে পারেননি। আমরা তাদের আজকে সে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি।

ভোট দিতে আসা আরেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, আজকের এমন আয়োজনে গত বছরের যেই নির্বাচন সেই নির্বাচনের চিত্র ফুটে উঠেছে। আমরা চাই এমন নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি না হয়। যেই নির্বাচনের কবর ৫ আগস্টের পরপরই রচিত হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা রাখি এমন নির্বাচন আর এ বাংলায় কখনোই অনুষ্ঠিত হবে না।

এ সময় তারা, ‘ভোট সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে’; ‘মধ্য রাতের ভোট’; ‘ডামি নির্বাচন’; ‘মধ্য রাতের ভোট’; ‘দ্যা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী’; ‘আপনার বাবার ভোটও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাবা তো মৃত’- ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন এবং ‘নৌকা-নৌকা’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।